নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন পরীক্ষার্থীরা। শনিবার (২২ মার্চ) নাটোরের নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজ কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা শেষে ক্যাম্পাস চত্বরে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় আজকের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবীও করেন তারা।

জানা যায়, নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাঁটলিপিকার- কাম- কম্পিউটার অপারেটর; সাঁট মুদ্রাক্ষরিক; বেঞ্চ সহকারী; জারিকারক এবং অফিস সহায়ক পদে মোট ৩৪জনের বিপরিতে শহরের এনএস কলেজ ও রাণী ভবানী মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারা দেশ থেকে এক হাজারের অধিক চাকরি প্রত্যাশিরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু পরীক্ষা চলাচলকালীন সময়ে এনএস সরকারী কলেজ কেন্দ্রের ২১০নম্বর রুমে একজন পরীক্ষার্থীর কাছে উত্তরপত্র পাওয়া যায়। এসময় অন্যা চাকুরী প্রত্যাশীরা স্বোচ্চার হলে ওই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে পরিদর্শকরা। পরে পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় অন্য কক্ষে আরও পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তরপত্র ছিল বলে দাবী পরীক্ষার্থীদের। পাশাপাশি পরীক্ষা বাতিলের দাবী জানান তারা।

সাঁট মুদ্রাক্ষরিক বেঞ্চ সহকারী পদে চাকরি পরিক্ষার্থী রাশেদ মিয়া বলেন, আমি ঢাকা থেকে এসেছি পরিক্ষা দিতে এসেছি, ১০১ নং কক্ষে পরিক্ষা দিয়েছি। আমাদের রুমে অনেকে মোবাইল দেখে লিখেছে। পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে শুনি ২১০ নং কক্ষে উত্তরপত্র নিয়ে এসে এক পরীক্ষার্থী লিখেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস না হলে এভাবে কোনভাবেই উত্তরপত্র নিয়ে এসে লেখা সম্ভব না। আমরা মনে করি এর সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়ার লোকজন ও জড়িত রয়েছে তাই এই পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানাই।

২১০ নং কক্ষে অংশগ্রহণ করা সবুজ হোসেন নামে আরেক পরিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কক্ষে একজন পরিক্ষার্থী হুবহু উত্তর নিয়ে এসেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস না হলে এটা কিভাবে সম্ভব। আমাদের দাবি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হোক। সেই সাথে পুনরায় পরীক্ষাটি আবার গ্রহণ করা হোক।

এ বিষয়ে নাটোর এন এএস সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল বারী মির্জা বলেন, আমরা শুধু ভেন্যু দিয়ে সহযোগিতা করেছি। পরীক্ষার সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা করেছেন জজ কোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে একজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমে প্রশ্ন তৈরী এবং বিতরণ করা হয়। প্রশ্নপত্র হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

preload imagepreload image