জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার একটি যোগসূত্র তৈরী হয় -ছারছীনার পীর ছাহেব।

আব্দুর রহমান
আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.) বলেছেন- আমরা সকাল-সন্ধ্যা বিভিন্ন ইবাদাত করি। তবে সকল ইবাদাতের রূহ তথা অন্তর হচ্ছে মহান আল্লাহর জিকির। মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের সর্বাবস্থায় অধিকহারে তাঁর জিকির করার নির্দেশ দিয়েছেন। জিকিরকারী ব্যক্তির দৃষ্টান্ত হলো জীবিত ব্যক্তিদের মতো। আর যারা জিকির করে না, তাদের অন্তর মরে যায় যদিও তারা জীবিত থাকে। জিকিরের মাধ্যমে অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত হয় এবং বান্দা মহান আল্লাহর দয়া ও মাগফিরাত লাভের যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। এককথায় জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার একটি যোগসূত্র তৈরী হয়। তাই হক্কানী পীর-মাশায়েখ, আওলিয়ায়ে কেরামগণ সর্বপ্রথম জিকিরের তা’লীম প্রদান করেন। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন- মাটি পুড়তে পুড়তে যেমন ইট হয়ে যায়, সেই ইট মাটি নষ্ট করতে পারেনা। তেমনি জিকির করতে করতে অন্তর নরম হয়ে যায়, সেই দেহ মাটিতেও খায় না।

গতকাল বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলাধীন পশ্চিম আধুনা দারুস সুন্নাত ছালেহিয়া মুহেব্বিয়া দীনিয়া কমপ্লেক্স ময়দানে ছারছীনা শরীফের মরহুম পীর ছাহেব কেবলা বাহরে শরীয়ত, মুজাদ্দিদে যামান, কুতুবুল আলম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (রহঃ) -এর স্মরণে ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির আলোচনায় হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন।

মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে আরও আলোচনা করেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোঃ হেমায়েত বিন তৈয়্যেব, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারিয়া দ্বিনীয়ার মুফতী মাওলানা মোঃ হায়দার হুসাইন, ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা মোঃ বোরহান উদ্দীন ছালেহী।

পরিশেষে হযরত পীর ছাহেব কেবলা দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যান ও শান্তি কামনা করে এবং বিশেষ করে এলাকার মুর্দেগানদের জন্য রূহের মাগফিরাত কামনা করে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন।