ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ১৫ জন লেবানিজ নিহত হয়েছে। হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহারের শেষ দিনে রোববার (২৬ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটলো।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলি সেনারা সীমান্তবর্তী লেবাননের যে গ্রামগুলোতে এখনো আছে, সেসব এলাকায় বাস্তুচ্যুত লেবানিজরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার চেষ্টা করছিল। এ সময় গুলি চালানো হয়। নিহতের পাশাপাশি অন্তত ৮৩ জন আহত হন।
লেবাননে নিযুক্ত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, এসব এলাকায় এখনো সাধারণ নাগরিকদের ফেরা নিরাপদ নয়।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, আইতারুন শহরে তিন জন, হুলায় তিন জন, মারকাবায় চার জন এবং মে আল-জাবাল শহরে দু’জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আল-আদিসা, ব্লিদা, ফারকিলা ও দাহিরায় একজন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, লেবাননের সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের আত্মসংযম দেখাতে বলেছে। সেই সঙ্গে নিজেদের সুরক্ষার জন্য সামরিক বাহিনীর জারি করা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বলা হয়।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনও সংযমের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে কোনো আপোষ হতে পারে না। আপনাদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি দেখছি।
লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে বেসামরিক মানুষ নিহতের নিন্দা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে ২৭ নভেম্বর থেকে একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চলছে। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েলকে পর্যায়ক্রমে ব্লু লাইনের দক্ষিণে এবং লেবাননের সেনাবাহিনীকে ৬০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ লেবাননে সরিয়ে নিতে হবে।