ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন

মুহাম্মদ আবু হেলাল, শেরপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাদশা’র বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই নেতা। সোমবার (২৭জানুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলা সদরের তামাগাঁও নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন, উপজেলা বিএনপি’র দুই বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, তিন বারের ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান ও তিন বারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান
মো. আমিনুল ইসলাম বাদশা।

লিখিত বক্তব্যে আমিনুল ইসলাম বাদশা জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। যাহা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। এরই ফলশ্রুতিতে গত ২৩জানুয়ারি বিকেলে আমার নেতৃত্বে ও আমার নিজ বাসায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিশ্বাসী প্রায় সহাস্রাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা তিন বারের সাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের নির্দেশনামূলক বক্তব্যের আলোকে অনেকেই বক্তব্য রাখেন। সেই দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে ২৫জানুয়ারি রাতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহজাহান আকন্দ আমাকে নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে সংবাদ সম্মেলন করেন। দোয়া মাহফিলে আমার দেয়া বক্তব্যের সঠিক অর্থ না বুঝে, আমার জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদে নিন্দা জ্ঞাপন করছি। প্রকৃতপক্ষে তিন তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনার আলোকে বক্তব্য প্রদান করেছি। আমি ইতিপূর্বে রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও ২০০৯ সালের পর থেকে ঈর্ষানীত হয়ে আমাকে আমার পথ পদবী থেকে বঞ্চিত রেখেছিলেন। গত ৮মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণের চাপে ও সাবেক সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল এর নির্দেশনা ও চাপের মুখে নির্বাচন করতে বাধ্য হয়েছিলাম। নির্বাচন করার কারণে আমাকে বহিস্কার করা হয়েছিল। যেটা ছিল আমার ভুল সিদ্ধান্ত। আমাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে উক্ত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত সকলে অগ্রগতির বিষয়ে প্রশ্ন করায়, আমি যা বলেছি তা হচ্ছে, বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের সাথে দেখা করলে তিনি এই বিষয় লিখিত আবেদন করার নির্দেশনা প্রদান করেন। তাহার নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন করলে আমাদের আবেদনপত্রে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের স্বপক্ষে লিখিত মতামত ব্যক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রেরণ করেন। ইতিপূর্বে গত ৫ আগস্ট এর পূর্বে বহিস্কৃতদের বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সভায় বহিষ্কার
আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যা প্রিন্টু ইলেকট্রনিক প্রচলিত হয়েছে। ইতিমধ্যে দোয়া মাহফিলে আমার দেয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। সেটা দেখলেই এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবেও বলে তিনি জানান। পরিশেষে তিনি প্রতিহিংসা নয়, প্রতিযোগীতামুলক রাজনীতি করতে প্রতিপক্ষকে অনুরোধ করেন।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতৃবৃন্দ সহ জেলা ও উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মিগণ উপস্থিত ছিলেন।