কামরুল হাসান, টাংগাইল পতিনিধিঃ কালিহাতীতে ফসলি জমি নষ্ট করে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বিল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।এ বালু উত্তোলনের ফলে আশেপাশের ফসলি জমি হুমকিতে রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ও পারখি দুই ইউনিয়নের মাঝখানে কুমরি বিলে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে লতিফ ও মতিন দুই ভাই আওয়ামী লীগ নেতা জামাল ও বিএনপি নেতা জুলফিকার আলী সিকদার ওরফে ভূটো বালু উত্তোলন করে আসছে।
উপজেলা কুমরি বিলে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয়রা। ড্রেজার বসাতে বাধা দিলেও কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন করা আসছে। বালু দস্যু লতিফ ও মতিন কুমরি বিল থেকে বালু উত্তোলন করে কয়েক কোটি টাকার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতিতে কালিহাতী উপজেলায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ঢাকা বিভাগীয় বিএনপিরসহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটোর স্বাক্ষরিত বিএনপির দলীয় প্যাডে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে দলটি। পরে ৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হুসেইন পৌর এলাকার ৮টি বনিক সমিতির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কালিহাতী উপজেলায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন। তারপরও অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হুসেইন মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আগে কতিপয় নামধারী আওয়ামী লীগ আস্থাভাজন লতিফ, মতিন ও জামাল ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিল। গত ৫ আগষ্ট পর কতিপয় নামধারী বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করে বালু উত্তোলন করেছে বালু দস্যু লতিফ ও মতিন। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবাধে বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বালুদস্যু লতিফ, মতিন ও জুলফিকার আলী ভুট্টো সিকদার।
সরেজমিন দেখা যায়, কুমুড়ি বিলে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন করে তা পাইপের মাধ্যমে বীরবাসিন্দা ও পারখি ইউনিয়নের ভিয়াইল,কুস্তুরিপাড়া,পূর্বাশুন্ডা ও ঘুনিপাড়া এলাকা ও আশপাশের এলাকাগুলোর খালি জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও বাড়িঘর গ্রামীণ রাস্তা ধসে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা জানান,সবাইকে ম্যানেজ করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে স্থানীয়দের জায়গা জমিতে ভরাট করা হচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাত বিন সাদেক বলেন, বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বলেন।বালু উত্তোলনের কয়েকবার এসব অবৈধ ড্রেজার জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে।বিলের অবৈধ ড্রেজার বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।