নৃশংস হামলার পর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযান

চলতি সপ্তাহে ব্যাপক বিমান হামলা চালানোর পর এবার গাজায় স্থল অভিযান বাড়ানোর কথা জানালো ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার (১৯ মার্চ) ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে। বিশেষ করে গাজায় একটি ভূখণ্ড দখল নিতে তারা এই অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মধ্য গাজায় একটি বাফার জোনের দখল নিতে তারা স্থলসেনা পাঠিয়েছে। সেইসঙ্গে বিমানবাহিনীর আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে গত সোমবার পূর্ব গাজার জনসাধারণকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। তখনই বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন, গাজা স্ট্রিপে আবার স্থলসেনা পাঠাবে ইসরায়েল।

জার্মানসংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকেই ইসরায়েলের স্থলসেনা সেখানে ঢুকতে শুরু করেছে। পরবর্তী সময়ে গতকাল বুধবার ইসরায়েল জানিয়েছে, মধ্য গাজার একটি বাফার জোনের দখল নিতেই সেখানে স্থলসেনা অভিযান চালাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে অঞ্চলে ইসরায়েলের সেনা অভিযান চালাচ্ছে, তার নাম নেটজারিম করিডোর। এই করিডোরই গাজাকে উত্তর এবং দক্ষিণে বিভক্ত করে। গাজায় আক্রমণ চালানোর সময় ইসরায়েল এই অঞ্চলটি দখল করেছিল। কিন্তু সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তির সময় সেখান থেকে সেনা সরিয়ে নেয় তারা। এবার আবার সেখানে সেনা মোতায়েন করলো ইসরায়েল। যা সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে।

এদিকে বুধবারেও রাতভর গাজায় বোমা নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। তারা জানিয়েছে, হামাসের পরিকাঠামোগুলি লক্ষ্য করেই এই আক্রমণ চালানো হয়েছে।

তবে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলায় বহু সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের হিসাব অনুযায়ী শুধু বুধবারেই ১৩ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারী ও শিশু আছে।

আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ৪৩৬ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ১৮৩ জন শিশু।

preload imagepreload image