ইয়ানূর রহমান : যশোরের জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত দুদকের একটি দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যশোরের একটি আদালত চার বছরের সশ্রম কারাদন্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
যশোরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এস এম নুরুল ইসলাম আজ বুধবার এ রায় দেন। রায়ে দন্ডিতকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায় আরো ৪ মাসের কারাদণ্ড এবং তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুদকের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নির্দেশে দুদক যশোর অফিস ২০০৭ সালের ২৭ জুন শাহীন চাকলাদারকে তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেন। শাহীন চাকলাদার তার ভাই আব্দুস সাত্তার চাকলাদারের মাধ্যমে নোটিস প্রাপ্ত হন। এরপর তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে ওই বছর ১১ জুলাই দুদকে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
তবে দুদক তাদের অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি খুঁজে পায়। এই ঘটনায় ২০০৮ সালের ৩ মার্চ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করে দুদক। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে সন্দেহাতিতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
এরপর আজ বিচার রায় ঘোষণার ধার্য দিনে শাহীন চাকলাদারকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায় আরো ৪ মাসের কারাদণ্ড এবং তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন।
একই সাথে শাহীন চাকলাদার পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, শাহীন চাকলাদার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর উপ নির্বাচনে যশোর-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।#