নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের সিংড়ায় হত্যা মামলা তুলে না নেয়ায় চাঁদা দাবি সহ হামলা, মারপিটের হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রতিপক্ষের হুমকি,ধামকিতে এলাকা ছাড়া মামলার বাদী সহ ঐ সব কৃষক যার কারনে জমি আবাদ করতে পারছে না তারা। এতে করে দেড় শ জমি এখনো অনাবাদি পড়ে আছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার দুর্গম এলাকা বেড়াবাড়ি গ্রামে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে সিংড়া থানায় অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ৩০ বছর থেকে ঐ গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দু গ্রুপের বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে এলাকার আধিপত্য ও পুর্ব শত্রুতায় ২০১৬ সালে আ: সামাদ – আনোয়ার গ্রুপের কৃষক রেজাউল ইসলাম প্রতিপক্ষ গ্রুপ রেজা- সাইফুল বাহিনীর হত্যার শিকার হন। আ: সামাদ গ্রুপের নেতৃত্ব ছেড়ে দিলে আনোয়ারের হাতে নেতৃত্ব চলে আসে। ঐ সময় আনোয়ারের চাচা রহিদুল বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় রেজা- সাইফুলকে প্রধান করা হয়। তারপর থেকে দফায় দফায় দু গ্রুপের সংঘর্ষের সুত্রপাত ঘটে। ২০২২ সালে রেজা – সাইফুল গ্রুপের গুলির শিকার হন প্রায় ২০ জন মানুষ।
বর্তমানে ঐ হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বারবার চাপ প্রয়োগ করে আসছে রেজা – সাইফুল গ্রুপ। মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি ধামকি, চাঁদাবাজির ঘটনা ও ঘটেছে।
আনোয়ার গ্রুপের আনোয়ার জানান, মামলায় আমি ১ নাম্বার স্বাক্ষী হওয়ায় আমাকে ও বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। চলনবিল এলাকা হওয়ায় বছরে ১ বার আমরা ইরি-বোরো আবাদ করতে পারি। আমরা যাতে আবাদ না করতে পারি সে জন্য তারা আমাদের কৃষি শ্রমিকদের মাঠে কাজ করতে দিচ্ছে না। আমি সহ আমার ভাই,চাচার ৫০ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছে। এছাড়া শাহিন, পিতা: কালাম প্রামানিক ৪৫ বিঘা আবাদ করতে পারছে না। দেলোয়ার, পিতা: মৃত আলিমুদ্দিন ৩৫ বিঘা জমি আবাদ করতে পারছে না। কাজল, পিতা: মৃত মহসিন, ৮ বিঘা জমি আবাদ করতে পারছে না। এছাড়া আমার চাচী বর্তমান মামলার বাদী হামিদা বানু, স্বামী: মৃত রহিদুল ইসলাম, তার ১০ বিঘা জমি পড়ে আছে। জমিতে পানি সেচ দিতে গেলে মারপিট, খুন জখমের ভয় দেখাচ্ছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউল করিম রেজাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টা দ্রুত নিরসন করার জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।