— এবাদত আলী —
এইচ. কে. এম. আবু বকর সিদ্দিক, পিতা মরহুম মোহাম্মদ মল্লিক, মাতা ছারা মল্লিক। পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে ১৯৫০ সালের ১লা জানুয়ারী সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিক্ষা জীবন থেকেই সাহিত্য সংস্কৃতি ও নাট্য চর্চায় আকৃষ্ট ছিলেন। ১৯৬৪ সালে প্রসাদ বিশ্বাস রচিত “পরাজয়” নাটক দিয়ে তার নাট্যাভিনয় শুরু। পরবর্তীতে কেদার রায়, বাহরাম বাদশাহ, সুরুজ্জামাল দুদ মেহেরী, নবাব সিরাজদ্দৌলা প্রভৃতি মঞ্চ নাটকে অভিনয় ও পরিচালনা করেছেন। এ ছাড়া বানর বাদশাহ, জানে আলম বাদশাহ, বাদশাহ জহির, ব্রজবালা, অবসর বিনোদনে সম্রাট শেরশাহ, জয় সাগর, স্বধর্ম রক্ষা, জমিদার আজিম চৌধুরী, শীতলাই জমিদার, তাড়াশ জমিদার, সপন্য তুলা, রেখা চৌধুরি, শ্রী শ্রী ঠাকুর অনূকুল চন্দ্র, রাণী ভবানী, শায়লা খানম, দিঘাপতিয়ার রাজা, দি গ্রেট হার্মোসিস এন্ড ক্লিওপেট্রা, বিষ করবী (পাঞ্জাব বিশ্বাসের উপন্যাস অবলম্বনে), রাশেদ চৌধুরি, পাপের প্রায়শ্চিত্ত, স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রারম্ভে পাবনা, সাবিত্রী চৌধুরীর প্রেতাতœা, বুদ্ধির দৌড় প্রভৃতি ধারাবাহিক ও প্যাকেজ নাটক রচনা করেছেন।
১৯৭৮ সাল থেকে তার সাংবাদিকতার শুরু। তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ের উপর কলাম লিখে আসছেন। তিনি পর্যায়ক্রমে দৈনিক উত্তরা, সাপ্তাহিক বিবৃতি (বর্তমানে দৈনিক), দৈনিক করতোয়া, দৈনিক চাঁদনীবাজার, দৈনিক দুর্জয় বাংলা, দৈনিক আজ ও আগামীকাল এবং দৈনিক স্বতঃকষ্ঠ পত্রিকায় নিজস্ব সংবাদদাতা, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, পাবনা ব্যুরো প্রধান, পরিচালক পাবনা ব্যুরো ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেছেন/করছেন। তিনি ১৯৮১ সালে পাবনা জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আই.ই.এম’র সাংবাদিক মনোনীত হন। তিনি আটঘরিয়া প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং উক্ত ক্লাবের একাধিকবার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০০ সালের মে মাস থেকে তিনি উক্ত ক্লাবে আজীবন সদস্য পদ লাভ করেন। তিনি ২০০৭-২০০৯ আটঘরিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি আটঘরিয়া শাখার সদস্য ছিলেন। তিনি সাপ্তাহিক দেশ বিবরন পত্রিকার উপদেষ্টা ছিলেন এবং ঈশ^রদী থেকে প্রকাশিত দৈনিক উন্নয়নের কথা পত্রিকার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্য এবং একাধিক বার পাবনা প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি টেবুনিয়া শামসুল হুদা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য এবং গভর্ণিং বডির অভিভাবক সদস্য ছিলেন। টেবুনিয়া মহিলা কলেজের গভর্ণিং বড়ির সদস্য ছিলেন। তিনি টেবুনিয়া ওয়াছিম পাঠশালার (হাইস্কুল) একাধিকবার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন এবং উক্ত পাঠশালার দাতাদের মধ্যে তিনি একজন। তিনি টেবুনিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমানে আজীবন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি মালিগাছা ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সহ-সভাপতি। দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনে তিনি অর্ধশতাধিক জনকে সংবাদ পত্রে হাতে খড়ি দিয়েছেন। তিনি নর্থবেঙ্গল ইনষ্টিটিউট পাবনার উপদেষ্টা ছিলেন এবং মনোহরপুর ঈদগাহ কমিটির সহ-সভাপতি। তিনি টেবুনিয়া বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কমিটির প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তিনি আটঘরিয়া উপজেলার সড়াবাড়িয়া মেধা বিকাশ শিক্ষা একাডেমির উপদেষ্টা ছিলেন।। পাবনা সদরের মালিগাছা মজিদপুর গোরস্থান, মসজিদ ও ঈদগাহ হািেজয়া মাদরাস কমিটির ও উপদেষ্টা।
২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১ মে তারিখে গঠিত টেবুনিয়া শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিষদের তিনি প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সমাজ উন্নয়ন মূলক কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন। পারিবারিক জীবনে স্ত্রী আলেয়া সিদ্দিক গৃহিনী। তিনি নয় সন্তানের জনক। তন্মধ্যে তিন পুত্র এবং ছয় কন্যা। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র কামাল আহমেদ সিদ্দিকী পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং দৈনিক আজকের কাগজের পাবনা জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। বর্তমানে দৈনিক বার্তা পাবনা প্রতিনিধি এবং ফোকাস বাংলার পাবনা জেলা প্রতিনিধি। তার মেঝো ছেলে ইকবাল আহমেদ সিদ্দিকী ব্যবসায়ী। কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার পাবনা জেলা প্রতিনিধি ও কাব্যগ্রন্থ ‘পারমিতা’র লেখক এবং পাবনা কলেজের প্রভাষক। পাবনা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য। তার কন্যাগুলো বিবাহিতা। তিনি টেবুনিয়া বাজারের একজন সফল ব্যবসায়ীও বটে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট)।