বরিশালে সেই একই স্থান থেকে আরও একটি অব্যবহৃত টিয়ারসেল হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়া গেছে। এর দুদিন আগে ওই জায়গায় আরও একটি হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়া যায়। দ্বিতীয়বারের মতো হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়ায় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর ফরেস্টার বাড়ি পোল এলাকায় ডাক বিভাগের মেইল প্রসেসিং সেন্টারের ভিতরের মাঠে হ্যান্ড গ্রেনেডটি পাওয়া যায়।
মেইল প্রসেসিং সেন্টার অফিসের পরিছন্নতাকর্মী জনি হেলাল জানান, সকালে অফিসের ঘাস ও লাতাপাতা পরিষ্কার করতে গিয়ে হ্যান্ড গ্রেনেডটির সন্ধান পান তিনি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা ৯৯৯ এ খবর দেয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে এসে অবস্থান নেন। এর আগে গত সোমবার একই স্থানে আরও একটি হ্যান্ড গ্রেনেড দেখতে পেয়ে প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ছগীর হোসেন জানান, গত ৪ আগস্টে ফরেস্টার বাড়ির পোল এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্র আন্দোলনকারীরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা ডাক বিভাগের পোস্টাল কলোনির ভিতরে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে রাস্তায় পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও জবাবে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডসহ নানা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে। হয়ত সেই সংঘর্ষের সময় হ্যান্ড গ্রেনেডটি ডাক বিভাগের মেইল প্রসেসিং সেন্টারের ভিতরে থেকে যায়। দুদিন আগেও সেখানে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়া যায়। দুদিনের ব্যবধানে একই জায়গায় পরপর দুটি হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়ায় আতঙ্কিত সবাই।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাফিছুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর গ্রেনেড ডিসপোজাল টিম এসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এর আগে উদ্ধার হওয়া হ্যান্ড গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ধারণা করছি, এগুলো হাতে নিক্ষেপযোগ্য টিয়ারসেল হ্যান্ড গ্রেনেড। তবে এই ধরনের গ্রেনেড যেহেতু পুলিশ ব্যবহার করে না, তাই বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। ওই এলাকায় এরকম আরও কিছু পাওয়া যায় কিনা খুঁজে দেখা হচ্ছে। হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। হ্যান্ড গ্রেনেডগুলো কাদের তা জানতে তদন্ত চলছে।