ধন-মান-ঐতিহাসিক পুরাকীর্তিতে একসময়ের বেশ সমৃদ্ধ সিরিয়া এখন রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ২০১১ সাল থেকে চলছে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। ১৩ বছর পরও লড়াই-রক্তপাতে অবশেষে পতন হয়েছে বাশার আল-আসাদ সরকারের।
জাতিসংঘ বৃহস্পতিবার বলেছে, আসাদ সরকারের পতনের পর তিন সপ্তাহে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সিরিয়ায় ফিরে আসা শরণার্থীর সংখ্যা ৫০,০০০ ছাড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এক্স-এ শেয়ার করেছেন, সিরিয়ান শরণার্থীদের তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
গ্রান্ডি বলেন, সিরিয়ার অভ্যন্তরে বস্তুগত অবস্থা ভয়াবহ- প্রত্যাবর্তনকারীদের এবং যারা প্রয়োজন তাদের জন্য আরও মানবিক এবং পুনরুদ্ধার সহায়তা প্রদান করতে হবে।
সিরিয়ার কথা বলতে গেলে অবধারিতভাবে আসবে আল-আসাদ পরিবারের কথা। কেননা, টানা পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসন করছে পরিবারটি। এর মধ্যে ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন হাফিজ আল-আসাদ। ২০০০ সালে তার মৃত্যু হয়।
এরপর ওই বছরই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন তার ছেলে বাশার আল-আসাদ। বিদ্রোহীদের মাত্র ১২ দিনের অগ্রাভিযানের মুখে বাশার আল-আসাদের অবিশ্বাস্য পরাজয় বিস্মিত করেছে আন্তর্জাতিক সব মহলকে। সরকারবিরোধী বিদ্রোহীরা গত ৮ ডিসেম্বর রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিলে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় উড়াল দেন আসাদ।
২০১৬ সালের আগে আল-কায়েদার অংশ ছিল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। দামেস্ক অভিমুখে অভিযানের সময় উপজাতি নেতা, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ সিরীয়দের তারা নিশ্চয়তা দিয়েছিল, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া হবে। এইচটিএসপ্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানিও একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন।