দেশ ছাড়ার আগে বাশার আল আসাদ সিরিয়ার প্রসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সেই সঙ্গে দামেস্কের পতনের পর বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সময় রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে রুশ কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এ আলোচনায় মস্কো যুক্ত ছিল না। তবে আসাদের ক্ষমতা হস্তান্তরের সিদ্ধান্তকে ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ স্বীকার করেছে সশস্ত্র বিরোধীরা।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সিরিয়ায় আমাদের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাদের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের কোনো হুমকি নেই।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সিরিয়ার সব বিরোধী দলের সঙ্গে মস্কো যোগাযোগ রাখছে এবং ওই অঞ্চলে রুশ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার এবং সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক শাসনের বিষয়গুলো সমাধান করার আহ্বান জানাচ্ছি। এতে ‘সিরিয়ার সমাজের সব জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর’ মতামতের প্রতি সম্মান জানানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২২৫৪ নম্বর প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার’ প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার সঙ্গে অবাধ নির্বাচন এবং নতুন সংবিধানের মাধ্যমে সিরিয়ায় শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং অন্যান্য সরকারবিরোধী বিদ্রোহীরা রোববার দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ আল-জালালি জনগণের নির্বাচিত যে কোন নেতৃত্বকে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। প্রেসিডেন্ট চলে গেলেও তিনি দামেস্কে নিজ বাড়িতে রয়েছেন।
হায়াত তাহরির আল-শাম বিদ্রোহীরা গত সপ্তাহে বিরোধী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশ থেকে অভিযান শুরু করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন একজন সাবেক আল-কায়েদা কমান্ডার।