সুদানে দুই জেনারেলের ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে সংঘাত। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপরপক্ষে রয়েছেন বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) প্রধান জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো। এর জেরেই দক্ষিণ সুদানে বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় চলতি সপ্তাহে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
দক্ষিণ সেন্ট্রাল ইকুয়েটোরিয়া রাজ্যে বুধবারের (৯ অক্টোবর) হামলায় ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট (এনএএস) গ্রুপ এবং সরকারি বাহিনীর একটি দল জড়িত বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘের মিশন (ইউএনএমআইএসএস) এসব হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯ জন বেসামরিক নাগরিকসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ইউএনএমআইএসএস- প্রধান নিকোলাস হেসোম এক বিবৃতিতে বলেন, আমি এই নৃশংস কর্মকাণ্ডের জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং দক্ষিণ সুদান সরকারের কাছে অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য অবিলম্বে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে সেন্ট্রাল ইকুয়েটোরিয়ার শান্তিবিষয়ক মন্ত্রী জেরাল্ড ফ্রান্সিস বলেছেন, পৃথক এলাকায় দুটি হামলায় মোট ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এই দেশটিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ১৩ বছর আগে স্বাধীনতার পর থেকে সংকটের মধ্যেই রয়েছে দক্ষিণ সুদান। স্বাধীনতা অর্জনের দুই বছর পর ২০১৩ সালে শুরু হওয়া সংঘাতে প্রায় ৪ লাখ মানুষ নিহত হয়। ২০১৮ সালের চুক্তিটি প্রেসিডেন্ট সালভা কির এবং তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের মধ্যে দ্বন্দ্বের নিরসন ঘটায়।
তবে সংবিধান রচনা এবং দেশের প্রথমবারের মতো নির্বাচনের প্রচেষ্টা বারবার বিলম্বিত হয়েছে। বিশাল তেলের খনি থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ সুদানের অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়েছে।