ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারির পরই নিজেদের আকাশপথ বন্ধ করল ইরান। সামরিক, বেসরকারি কোনও বিমানই ঢুকতে পারবে না ইরানের আকাশসীমায়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আপাতত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর লেবাননের দক্ষিণ প্রান্তে রকেট হানা চালায় ইজ়রায়েলি সেনা। পর পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তছনছ লেবানন। মৃত্যুর সংখ্যা হুহু করে বাড়তে থাকে। ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বেরুটের দক্ষিণে দাহিয়া এলাকায় ইজ়রায়েলি বিমানহানায় হত হন হিজ়বুল্লা প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লা। তার পর থেকে উত্তেজনা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। নাসরাল্লার মৃত্যুর পরই পাল্টা হামলার ছক কষে ইরান। মঙ্গলবার লেবাননে ঢুকে যখন ইজ়রায়েলি ফৌজ হামলার পরিকল্পনা করে, তখন তেল আভিবে একে পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরানি সেনা। তাদের দাবি, প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। যদিও ইজ়রায়েল সেনা সেই হামলা প্রতিহত করে।
মঙ্গলবার রাতেই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন নেতানিয়াহু। তার পরই ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইরান হামলা করে ঠিক কাজ করেনি। এর ফল ভুগতে হবে তাদের।’’ তেহরান পাল্টা হুমকি দিয়ে জানায়, ইজ়রায়েল যদি প্রতিশোধ নিতে হামলা চালায়, তা হলে তারাও চুপ থাকবে না। তার মধ্যেই আমেরিকা ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়ি ইরানের হামলার নিন্দা করেছে। সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই আবহে আমেরিকাকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইরান। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘছি জানিয়েছেন, তাঁরা কোনও ভাবেই কোনও হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না। পাল্টা জবাব দেবে।