বাইশ বছর পর: ঈশ্বরদীতে চাকরি ফিরে পেলেন কলেজ শিক্ষক আজমল হোসেন

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ

সুদীর্ঘ ২২ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক আজমল হোসেন সুজনতিনি প্রভাষক পদে পুনর্বহাল হয়েছেন বলে কলেজের অধ্যক্ষ নিশ্চিত করেছেন

কলেজের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবাদী এই শিক্ষক সাবেক অধ্যক্ষের আক্রোশের শিকার হনযেকারণে ২০০৩ সালে তৎকালীন কলেজ পরিচালনা কমিটি কলেজে ৯ দিন বিলম্বে উপস্থিত হওয়ার কারণ দেখিয়ে আজমল হোসেন সুজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেনপরবর্তীতে এ বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক ও আইনগত পদপে গ্রহণ করেও আজমল হক সুজন চাকরি ফিরে পাননি২২ বছর পর তিনি পুনরায় এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বর্তমান গভর্নিং বডির কাছে আবেদন করেন

গভর্নিং বডির এ বিষয়টি তদন্ত ও পর্যালোচনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন জানানজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা সরেজমিনে কলেজে এসে বিষয়টি তদন্ত করেনতদন্তে আজমল হক সুজনের কোনো দোষ না থাকায় তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য নির্দেশ প্রদান করেনএকইসাথে বিগত ২২ বছরের বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধের নির্দেশ দেন

প্রভাষক আজমল হোসেন সুজন জানান, কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ আব্দুল কাদেরের আক্রোশের শিকার হলে তৎকালীন পরিচালনা কমিটি মিথ্যা অজুহাতে আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন২২ বছর পর সত্য উন্মোচিত হয়েছেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা তদন্ত করে কোনো ভুল বা দোষ খুঁজে পাননিতাই আমাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেনএরইমধ্যে আমি যোগদান করেছি

কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজমল হোসেন সুজনকে তার স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছেআজমল হোসেন স্বপদে যোগদান করেছেন

গভর্নিং বডির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আজমল হোসেন সুজন একজন দক্ষ গণিত শিক্ষকতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ও প্রচারণা ছড়িয়ে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিলদীর্ঘ ২২ বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা আজমল হোসেন সুজনের কোনো ভুল ও দোষ পাননিতাই তাকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য নির্দেশ প্রদান করে পত্র পাঠিয়েছেন

 

preload imagepreload image