রাজনৈতিক সংকট সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক নেতাদেরই : সিজিএস সংলাপে বক্তারা

সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘দুঃসময়ের কণ্ঠস্বরঃ তাঁদের স্বপ্ন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে। এতে বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। কথা বলেন বিষয়ভিত্তিক। আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। সেখানে বক্তাদের ভাষ্য, রাজনৈতিক সংকট সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক নেতাদেরই।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা হচ্ছে বিচার পাওয়া। আমরা এমন একটা সমাজ চাই যেখানে সময় মতো বিচার হবে।’ তিনি বলেন, ‘একটা ফ্যাসিস্ট সরকার একা কাজ করে না, সংবাদ মাধ্যম, প্রশাসন সঙ্গে নিয়ে কাজ করে। আমাদের সবার স্বপ্ন ভিন্ন নয়। সংস্কার করা সম্ভব। জনস্বার্থেই সংস্কার করা প্রয়োজন। আমার মতে, সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা হচ্ছে বিচার পাওয়া। আমরা এমন একটা সমাজ চাই যেখানে সময় মতো বিচার হবে।’ তিনি আরও বলেন, আমরা সমালোচনা করি তবে ফোকাস যেন নষ্ট না হয়। আমরা যেন সব কথা বলি, শুনি, বিবেচনা করি।’

সংস্কারের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বপ্নকে ধারণ করেই সংস্কার আসবে। ক্ষমতার ক্ষেত্রে জবাবদিহি, স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করি। ফ্যাসিজমের দোসররা সব জায়গায় আছে, বিভ্রান্ত না হয়ে আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই।’ আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের ভোগান্তির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আমার দুঃস্বপ্নের কথা কখনো বলিনি, এর পেছনে কারণ হলো, আমি সঠিক বিচার পাব না। আমার চেয়েও কষ্টের মধ্যে অনেকে গেছেন। আমি আমার স্বজনকে ফিরে পেয়েছি, কিন্তু অনেকে তাও পায়নি।’

সুশাসনের জন্য নাগরিককের (সুজন) সম্পাদক এবং নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এই আন্দোলনের মাধ্যমে বিরাট সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে। সব স্তরের, সবার প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই আন্দোলন সফল হয়েছে। এই আন্দোলনের ফসল যেন আমাদের ঘরে ঢুকে এই ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে, নাহলে প্রত্যাশা অপূর্ণ রয়ে যাবে। থেমে থাকা যাবে না। আমাদের সামনে অপূর্ব সুযোগ পরিবর্তন আনার। যদি বিভক্তির রাজনীতি করি অন্তর্ভুক্তির বদলে, টেনে নামানোর রাজনীতি থেকে বের না হই তবে সব সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাবে। ক্ষমতার ব্যবহার, অপব্যবহার উভয়ের পার্থক্য বুঝতে হবে। নৈতিকতাবোধের অভাব আমাদের যেই ক্ষমতাই থাকুক অপব্যবহার করতে বাধ্য থাকবে।’