আব্দুর রাহমান
আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.) বলেছেন- ওয়াজ নসীহতের মাধ্যমে আমাদের আমলকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে নিজেকে নিয়ে ফখর তথা অহংকার করার কিছুই নাই। একদিন তো মরে যেতেই হবে। পরকালে মহান আল্লাহর সামনে কি নিয়ে আমরা দাঁড়াবো তাহা অর্জন করতে হবে। সেদিন যার নেক আমলের ওজন বেশী হবে সেই হবে নাজাতপ্রাপ্ত। আজ আমরা আমলকে ছেড়ে দিয়ে পার্থিব লোভ-লালসা, ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়ে আছি। দুনিয়াবী চাকচিক্যময় এই জীবনকে পরোয়া না করে পরকালীন জীবনের জন্য কিছু অর্জন করবে তাহারাই দুনিয়া ও পরকালে সফলকাম হবে।
গতকাল পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলাধীন উত্তর চাকামইয়া খানকায়ে ছালেহীয়া হুসাইনিয়া কমপ্লেক্স মাঠে ছারছীনা শরীফের মরহুম পীর ছাহেব কেবলা বাহরে শরীয়ত, মুজাদ্দিদে যামান, কুতুবুল আলম আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (রহঃ) এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা ও ঈছালে ছওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথির আলোচনায় হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে আরও আলোচনা করেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোঃ হেমায়েত বিন তৈয়্যেব, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারিয়া দ্বিনীয়ার মুফতী মাওলানা মোঃ হায়দার হুসাইন, মাওলানা মোঃ মুহিব্বুল্লাহ আল মাহমুদ।
পরিশেষে হযরত পীর ছাহেব কেবলা দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যান ও শান্তি কামনা করে এবং বিশেষ করে এলাকার মুর্দেগানদের জন্য রূহের মাগফিরাত কামনা করে আখেরী মুনাজাত পরিচালননা করেন।