ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা নেমেছে ৯.৮ ডিগ্রীতে
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা:
উত্তরের হিমেল বাতাসে ঈশ্বরদীসহ আশেপাশের এলাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের তীব্রতায় সর্বত্রই জবুথবু অবস্থা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। ঠান্ডায় কাবু ঈশ্বরদী জনপদ। হিমশীতল বাতাসে বিপর্যস্থ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের লোকজন। হিমেল বাতাসের কারণে কাজে যেতে পারেননি অনেকে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারি পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চব্বিশ ঘন্টায় তাপমাত্রা প্রায় ৫ ডিগ্রী নেমে গেছে।
বুধবার বিকেল থেকেই হিমেল বাতাসের কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে। ঠান্ডা বাতাসে তীব্র শীতের মুখে ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশনের ভাসমান মানুষদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বুধবার (৮ জানুয়ারী) রাতে প্লাটফর্মে অবস্থানরত ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষদের শীতের তীব্রতায় নির্ঘুম রাত্রিযাপন করতে দেখা গেছে।
বস্তিপাড়া এলাকার গৃহিনী মন্নুজান বেওয়া জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডা শরীরে কাঁটার মতো ফুটছিল। পানি বরফের মতো ঠান্ডা। রাতে একাধিক কম্বল ও লেপ নিলেও বিছানা বরফের মতো লাগে।
চিকিৎসক ডা: কেসি দত্ত বলেন, শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়ারিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ জানান, এবারে দরিদ্র জনগোষ্ঠি অধ্যুষিত এলাকার স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থিদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়েছে। ঈশ্বরদীতে এযাবত মোট ৬ হাজার ৩১৮টি কম্বল বিতরণ রা হয়েছে।