ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি থাকলেও নতুন বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছায়নি। উপজেলায় পর্যায়ে সকল শেণির সব বিষয়ের চাহিদা মোতাবেক বই না পৌঁছানোতে শিক্ষার্থীরা বই পায়নি বলে জানা যায়। তবে দ্রুত ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া হবে জানিয়ে বুধবার নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়।
তবে এদিন বই উৎসবের ঘাটতি ছিলনা বিদ্যালয়গুলোতে ! নতুন বছর, নতুন শ্রেণী,নতুন বই- শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুনত্বের ছোঁয়া। এই আনন্দ-উৎসবের আমেজ থেকে কেউ বঞ্চিত হতে চায়না ! তাই ছুটে এসেছে নিজ নিজ বিদ্যালয় । তাই উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি ছিল।
সরেজমিনে উপজেলার শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নতুনের ছোয়ায় রঙিন সাজে সাজানো হয়েছে বিদ্যালয়। বেলুন আর ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে বিদ্যালয় ভবন ও আঙ্গিনা। বিদ্যালয়ের ড্রেস লাল সোয়েটার পরিহিত ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা এক অনুভূতির মূহুর্ত ! শিক্ষার্থীদের জীবন পাতার স্মৃতিপটে বই উৎসব স্মরণীয় করে রাখতে এমন আয়োজন করেছে বলে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ !
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উপজেলার প্রাচীনতম এবং শীর্ষ বিদ্যাপিঠ শরৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার। এ সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেকেন্দার আলী ও প্রধান শিক্ষক হাবিবা খন্দকার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মনোমুগ্ধ বক্তব্যে আরো উচ্ছ্বাসিত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা।
উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়েও একইভাবে বই উৎসব হয়েছে বলে জানা যায়। সেসব এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকদের নিয়ে স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকগণ বই উৎসব উদযাপন করেন বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়।
এদিকে উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে বুধবার দুপুরের পরে দুইটি শ্রেণীর কয়েকটি বিষয়ের বই পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বই পৌঁছালে সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বই সংগ্রহ করে বছরের প্রথম দিনই বিতরণের নির্দেশনা রয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে।