নাটোর প্রতিনিধি
বড়াইগ্রামের পারকোল উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে রাতের আঁধারে মাছ মারতে এসে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের হাতে আটক সাতজন ছাত্রদলের কেউ নয় বলে দাবি করেছেন বনপাড়া পৌর ছাত্রদলের নেতারা। এমনকি এ ঘটনায় ছাত্রদলের কেউ জড়িতও নয়। এছাড়া মাছ চুরি নয়, নিজেদের ইজারা নেয়া পুকুর থেকেই সংশ্লিষ্টরা মাছ ধরতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তারা। সোমবার বনপাড়া শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেছে বনপাড়া পৌর ছাত্রদল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুকুর পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইসলাম আলী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বনপাড়া পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহেল রানা, সদস্য সচিব সোহেল রেজা, যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব সর্দার, মহসিন ইসলাম মহন ও জামিল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্য সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর ব্যাক্তিগত সহকারী মিজানুর রহমান মজনু পারকোল দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরটি তিন বছরের জন্য ইজারা নেন। কিন্তু গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর কিছু ব্যাক্তি ওই পুকুর থেকে মাছ ধরতে বাধা সৃষ্টি করে। গত ১৫ই ডিসেম্বর রাতে মজনুর প্রতিনিধি ইসলাম আলী লোকজন নিয়ে মাছ মারতে গেলে তারা বাধা দেয় এবং মাছ চুরি করতে যাওয়ার কথা বলে সাতজনকে আটকে রেখে পুলিশে দেয়। পরে এ ব্যাপারে পৌর ছাত্রদলের সভাপতিসহ সাত ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু সভাপতিসহ ছাত্রদলের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় এবং আটকরাও ছাত্রদলের কেউ না। কিন্তু এভাবে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ছাত্রদলের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এছাড়া টাকা পয়সা খরচ করে চাষ করেও মাছ ধরতে না পারায় ইজারা নেয়া ব্যাক্তিসহ মাছচাষীরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা কোন দলের সাথে জড়িত কিনা তা আমি জানা নাই।