নির্বাচনে কারা আসবে, সেই সিদ্ধান্ত ইসির: বদিউল আলম

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘নির্বাচনে কারা আসবে, কারা আসবে না; কারা যোগ্য বা কারা যোগ্য না- সেটা দেখার এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার পুরো এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। এসব আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। আমাদের কাজ হলো নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কারের ব্যাপারে প্রস্তাব দেওয়া।’

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, জেসমিন টুলী, আবদুল আলীম এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমনহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ, আবেগ ও উচ্ছ্বাস সেটা আমরা উপলব্ধি করছি। আমরা কোথাও গেলে মানুষ দুটি কথা বলতে চায়, তাদের মনের আকুতি ব্যক্ত করতে চায়। তারা বিভিন্ন প্রস্তাব দিতে চায়। ইমেইলে হাজার হাজার মানুষ মতামত দিচ্ছে। তাদের সবার আকুতি একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, যার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটি একটি ভিত্তির ওপর দাঁড়ায়। এটা জন-আকাঙ্ক্ষা, সে সঙ্গে আমাদেরও আকাঙ্ক্ষা। আমরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রস্তাবগুলো দেব। মানুষের কাছ থেকে যেগুলো শুনেছি ও আমাদের জ্ঞানবুদ্ধি, অভিজ্ঞতা সেগুলো ব্যবহার করে আমরা কতগুলো প্রস্তাব দেব। কিন্তু বাস্তবায়ন আমাদের দায়িত্ব নয়। সরকার, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশন বাস্তবায়ন করবে। নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার সেখানে ভূমিকা থাকবে।

জনগণ সুষ্ঠু নির্বাচন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কিছু অজানা আছে, তা আমরা জানতে চেয়েছি। তবে আপনারাও জানেন, আমরাও জানি, কী ঘটেছিল। প্রত্যেকেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চান। আবার যেন এমন নির্বাচন না হয়, আবার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এই যে অপরাধের যেসব ঘটনা ঘটেছে, হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং একই সঙ্গে আমাদের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে, এটার যেন অবসান হয়। রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও দায়িত্বশীল সুপারিশ এসেছে। তারাও চায় যে একটা সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক।

অনেক দল গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের নির্বাচনে সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ থাকবে কি না- জানতে চাইলে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে সুপারিশ থাকবে। ওইসব প্রশাসনিক ও আইনগত সিদ্ধান্ত। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সেসব সিদ্ধান্ত আসবে। আগে যা ঘটেছে তার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে। নির্বাচনি ব্যবস্থাকে যে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে, সেটা ফিরিয়ে আনতে সবাই বদ্ধপরিকর।’