নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের সিংড়ার একটি আবাসিক মহিলা মাদ্রাসার টয়লেটের পাশ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পৌরসভার পেছনে পেট্রোবাংলা এলাকার চলনবিল আল জামিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা থেকে নবজাতকের একটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসায় কর্মরত এক অবিবাহিত শিক্ষিকা তানিয়া (১৯) গোপনে গর্ভপাত ঘটিয়ে এই বাচ্চা ফেলে পালিয়েছেন। সে উপজেলার বিয়াস গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে মহিলা মাদ্রাসার নামে সেখানে অবৈধ কার্যকলাপ পরিচালনা হয়ে থাকে। এর আগে মাদ্রাসার ভেতরে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। পরে সেটি ধামাচাপা হয়ে যায়।
চলনবিল আল জামিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক সাইফুল্লাহ সুমন জানান, মাদ্রাসায় ৫৬ জন ছাত্রী রয়েছে। তিনজন শিক্ষিকার মধ্যে একজনের সঙ্গে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি সাহেবের সম্পর্ক রয়েছে। মাঝে মধ্যেই তার বাসায় যাতায়াত করতেন ওই শিক্ষিকা। এখন তারা ঘটনা ঘটিয়ে দুইজনই পালিয়েছেন।
তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মুহতারাম সাইফুল্লাহ সুমন এসবের মুল হোতা। তার ইন্ধনে তারই সহযোগিতায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঐ শিক্ষিকার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। যার কারনে একজন নিস্পাপ শিশু শিকার হলো।
এ বিষয়ে মাদ্রাসায় বাড়ি ভাড়া দেওয়া মালিক মোজাম্মেল হক বলেন, মহিলা মাদ্রাসার জন্যই আমি বাসা ভাড়া দিয়েছিলাম কিন্তু আমার অজান্তেই সেখানে অনেক কিছুর খবর আমার কানে এসেছে। এজন্য এক মাসের মধ্যে মাদ্রাসা স্থানান্তরের নোটিশ দিয়েছি।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই মাদ্রাসার শিক্ষিকার বাচ্চা বলে জানা গেছে। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।