তত্ত্বাবধায়ক ও গণভোট ফিরছে

  • হাইকোর্টে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিক বাতিল

    হাইকোর্টে মঙ্গলবার পঞ্চদশ সংশোধনীর বিষয়ে রায় ঘোষণার পর বক্তব্য রাখেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন
    সংবিধানের যে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করা হয়েছিল, তার কিছু অংশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। ফলে ১৩ বছর পর ফিরেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি। একই সঙ্গে পুনর্বহাল হয়েছে গণভোট। মঙ্গলবার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা পৃথক দুটি রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে দীর্ঘ ২৩ কার্যদিবস শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায়ের জন্য এ দিন ধার্য রেখেছিলেন।অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করলে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ সংক্রান্ত সংশোধনীর দুটি ধারাও বাতিল করেছেন আদালত। এই তিনটি বিষয়ে রায় দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিক বাতিল করা হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়েছিল। যে কারণে এটি সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি হয়ে গেছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল। তবে পঞ্চদশ সংশোধনী পুরোপুরি বাতিল হবে না। সংবিধানের মূল কাঠামো হচ্ছে গণতন্ত্র।

    সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই পারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। সংবিধানের সৌন্দর্য হচ্ছে জনগণের ক্ষমতায়ন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়েছিল। যে কারণে এটি সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি হয়ে গেছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল। তবে পঞ্চদশ সংশোধনী পুরোপুরি বাতিল হবে না।
    পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, সংবিধানের মূল কাঠামো হচ্ছে গণতন্ত্র। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই পারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। সংবিধানের সৌন্দর্য হচ্ছে জনগণের ক্ষমতায়ন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। সংবিধানে উল্লেখিত জাতির পিতা, সাতই মার্চসহ কয়েকটি ধারা সংসদের জন্য ‘রেখে দিয়েছেন’ আদালত। সংবিধানের যে সংশোধন করতে হলে গণভোটের আয়োজন করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া হাইকোর্ট জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিষয়ে বলেছেন, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং জনগণের এই শক্তির বহিঃপ্রকাশ কেউ ঠেকাতে পারবে না।’ একটি পার্লামেন্ট আরেকটি পার্লামেন্টের কোনো সংবিধান সংশোধন করতে পারে না এবং পরবর্তী পার্লামেন্ট কী করবে না করবে তা আগে থেকে বলা যায় না। আদালতের আরেকটি পর্যবেক্ষণ হলো, সময় এবং পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়েই সংবিধান সংশোধন করতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে হাইকোর্ট বলেন, এটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, জনআকাক্সক্ষার প্রতিফলস্বরূপ বিশেষ ব্যবস্থার সরকার।মঙ্গলবার আদালত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর কিছু অংশ অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেন। ১৯৯৬ সালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনকারী ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়েছিল। ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, রাষ্ট্রীয় অঞ্চল, জাতীয়তাবাদ, জাতির পিতা ও সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যাসহ রাষ্ট্রীয় নীতিমালার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ধারায় হস্তক্ষেপ না করে রায়ে হাইকোর্ট বলেন, এসব বিষয়ে পরবর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিট থেকে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা শুরু করেন। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন, রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া।
    বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, চার আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।সাবেক দুই প্রধান বিচারপতির দায় ॥ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাসহ বিচার বিভাগ ধ্বংসে সাবেক দুই প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে দায়ী করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। মঙ্গলবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদসহ কয়েকটি অনুচ্ছেদ বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এ সময় তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাসহ বিচার বিভাগ ধ্বংসে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের পর আরেক সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দায়ী। রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। কারণ আজকের রায়ের মধ্যে আদালত বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাংবিধানিকভাবেই বৈধ সরকার। ১০৬ অনুচ্ছেদের প্রেক্ষাপটে মতামত নিয়ে করা হয়েছে।
    প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ফুল বেঞ্চ মতামত দিয়েছেন, এটি সাংবিধানিক ওপিনিয়ন। আপিল বিভাগ সাংবিধানিক মতামতে বলেছেন রাষ্ট্রপতি তাদের কাছে বলেছেন, সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলে গেছেন, অন্য কাউকে ডেকে সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে আইনি কোনো বাধা আছে কিনা। সুপ্রিম কোর্ট গোটা প্রেক্ষাপট বিবেচনা নিয়ে বলছে এটা বৈধ ও সাংবিধানিক সরকার হবে। এটার সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সাংঘর্ষিক প্রভিশন নেই।’রায়ে খুশি বদিউল আলম মজুমদার ॥ ড. বদিউল আলম মজুমদার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এ রায়ে আমি খুশি বাংলাদেশের জনগণ খুশি। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে রায় হয়েছে। গণতন্ত্র ব্যবস্থা ফিরে আসার দ্বার উন্মোচিত হলো। যদি রাজনীতিবিদরা আচরণের পরিবর্তন আনেন তাহলেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। ড. শরীফ ভুইয়া যা বলেন ॥ পরে ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ আবেদনকারীর আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার বিধান বাতিল হলো; সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ এবং সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য সংক্রান্ত ৭(ক) এবং ৭(খ) বাতিল হলো। মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের বিধান নিয়ে হাইকোর্টের ক্ষমতা কমানোবিষয়ক ৪৪ (২) বাতিল করা হলো; এ ছাড়া ১৪২ অনুচ্ছেদে গণভোটের বিধান বাতিল করার বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে। ফলে সংবিধানের প্রস্তাবনা ও কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধনে আজকের রায়ে গণভোটের বিধান ফিরে আসছে। রায়টিকে ঐতিহাসিক বলে এ আইনজীবী বলেন, ৭(ক) ও (খ), ৪৪ (২) ও ১৪২ অনুচ্ছেদের বিষয় আজকের রায়ের ফলে বাস্তবায়িত হয়ে গেল। তবে সংসদের মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হলো সেটির প্রতিবন্ধকতা আজকে পার হলাম। যেসব বিষয় বাতিল করা হলো এক সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ সংক্রান্ত ৭ (ক) অনুচ্ছেদে (১) বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি শক্তি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বা অন্য কোনো অসাংবিধানিক পন্থায়- (ক) এ সংবিধান বা এর কোনো অনুচ্ছেদ রদ, রহিত বা বাতিল বা স্থগিত করলে কিংবা তা করার জন্য উদ্যোগ নিলে বা ষড়যন্ত্র করলে; কিংবা (খ) এ সংবিধান বা এর কোনো বিধানের প্রতি নাগরিকের আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করলে কিংবা তা করার জন্য উদ্যোগ নিলে বা ষড়যন্ত্র করলে- তার এ কাজ রাষ্ট্রদ্রোহ হবে এবং ওই ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী হবে।

    (২) কোনো ব্যক্তি (১) দফায় বর্ণিত- (ক) কোনো কাজ করতে সহযোগিতা বা উসকানি দিলে; কিংবা (খ) কার্য অনুমোদন, মার্জনা, সমর্থন বা অনুসমর্থন করলে- তার এরূপ কাজও একই অপরাধ হবে। (৩) এ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অপরাধে দোষী ব্যক্তি প্রচলিত আইনে অন্যান্য অপরাধের জন্য নির্ধারিত দ-ের মধ্যে সর্বোচ্চ দ-ে দ-িত হবে। সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন অযোগ্য সংক্রান্ত ৭ (খ)তে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে যা কিছুই থাকুক না কেন, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সব অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদসমূহের বিধানাবলি সাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদগুলোর বিধানাবলি সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোনো পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য হবে।
    দুই. মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ সংক্রান্ত ৪৪ (২)- এ বলা হয়েছে, এ সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার হানি না ঘটিয়ে সংসদ আইনের মাধ্যমে অন্য কোনো আদালতকে তার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে ওই সব বা তার যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা দান করতে পারবে।তত্ত্বাবধায়ক সংক্রান্ত ৫৮(ক) অনুচ্ছেদ বিলুপ্তি এবং (ক) পরিচ্ছেদে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্তি। এ ছাড়া সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা সংক্রান্ত গণভোটের বিধান বাতিল সংক্রান্ত ১৪২-এর অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আদালত বলেছেন, গণভোট সংক্রান্ত ১২তম সংশোধনী এখানে বহাল হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার পক্ষভুক্ত হন। এরপর ইনসানিয়াত বিপ্লব, গণফোরাম, চার আবেদনকারী রুলে ইন্টারভেনর হিসেবে পক্ষভুক্ত হন। গত ১৯ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে সময় বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছিলেন। সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ জনের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেন।

    ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই সংশোধনীর দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বিদ্যমান ৪৫-এর স্থলে ৫০ করা হয়।