কাজের শুরুতে আল্লাহর নাম নেওয়া তথা বিসমিল্লাহ বলা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। প্রিয় নবীজি (সা.) যেকোনো ভালো কাজ বিসমিল্লাহ দিয়ে শুরু করতেন। বিসমিল্লাহ ইসলামের অন্যতম প্রতীক বা নিদর্শন। একে সম্মান করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।
পবিত্র কোরআনে ইসলামের প্রতীক বহন করে এমন বিষয়গুলোকে সম্মান করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মুমিনের তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘এটাই আল্লাহর বিধান এবং কেহ (আল্লাহর) নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে এটা তো তার হৃদয়ের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৩২)
তাই ইসলামের এই প্রতীক বহনকারী এসব নিদর্শনের ব্যাপারে এমন উক্তি করা উচিত নয়, যার মাধ্যমে তার সম্মান নষ্ট হয়।
যেমন—কোনো হারাম কাজ করার সময় ঠাট্টা করে আল্লাহর নাম নেওয়া বা কাউকে বিসমিল্লাহ বলে হারাম কাজ করতে বলা ইসলামের প্রতীক বহনকারী বিসমিল্লাহর সঙ্গে ঠাট্টা করার শামিল, কোনো মুমিন জেনে-শুনে এ ধরনের কাজ কখনোই করতে পারে না।
সব কাজে আল্লাহর নাম নেওয়া বা আল্লাহকে স্মরণ করা অবশ্যই ভালো কাজ, তবে তা হতে হবে পরিপূর্ণ বিনয় ও ভীতির সঙ্গে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমার প্রতিপালককে মনে মনে বিনয়ের সঙ্গে ভয়ভীতি সহকারে অনুচ্চস্বরে সকাল-সন্ধ্যায় স্মরণ করো আর উদাসীনদের দলভুক্ত হয়ো না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২০৫)
কিন্তু আল্লাহর নাফরমানির কাজে বিসমিল্লাহ বলা তো বিনয় ও ভীতি প্রদর্শন করে না, বরং আল্লাহর সঙ্গে অনেকটা বিদ্রোহের চিহ্ন বহন করে, যা খুবই ভয়ংকর বিষয়।
প্রত্যেক মুমিনের উচিত এ ধরনের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। অসতর্কতাবশত এমন কাজ হয়ে গেলে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।