কীর্তনখোলায় স্পিডবোট ডুবি: আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ১

বরিশালে ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষের তিন দিন পর চালক ও দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দুর্ঘটনার দিন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে আজ রোববার তিনজনের লাশ উদ্ধারের পরও আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিখোঁজ যুবকের নাম স্বজল দাস (৩০)। নিখোঁজের তালিকায় আগেই ছিলেন তিনি।

বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উদ্ধার হওয়া মরদেহ তিনটি হচ্ছে— স্পিডবোট চালক আল আমিন (২৩), যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৯) ও মো. রাসেল আমিন (২৪)।

চালক আল আমিন ভোলা সদরের ভেদুরিয়ার উত্তর চর এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে এবং যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন ভোলা সদরের ধনিয়া এলাকার মো. শাহাবুদ্দিনের ছেলে ও মো. রাসেল আমিন পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার নেওয়াপাড়া এলাকার আজগর আলী হাওলাদারের ছেলে। এই তিনজনের মধ্যে যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন নিখোঁজ ছিলেন বিষয়টি আজ লাশ উদ্ধারে পর জানা গেল।

এদিকে লালমোহন উপজেলায় কর্মস্থল থেকে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরছিলেন স্বজল দাস। দুর্ঘটনার পর থেকে সজলের কোনো খোঁজ মেলেনি। এরই মধ্যে সজলের মোবাইল নম্বর থেকে তাঁর মায়ের কাছে ফোন করে একটি অজ্ঞাত চক্র সজলকে ফেরত পাঠানোর জন্য ২৫ হাজার টাকা দাবি করে এবং বিকাশ নম্বর দেয়।

ওসি জানান, দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকেই মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কীর্তনখোলায় ডুবে যাওয়া স্পিডবোটের ৩ যাত্রীর সন্ধান মেলেনি দুই দিনেওকীর্তনখোলায় ডুবে যাওয়া স্পিডবোটের ৩ যাত্রীর সন্ধান মেলেনি দুই দিনেও

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া জালিস মাহমুদ (৫০) নামের এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। আজ রোববার নিখোঁজ ৩ জনের লাশ পাওয়ার পর স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ জনে। তবে দুর্ঘটনার পর তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

ট্রলার-স্পিডবোট সংঘর্ষ: নিখোঁজ যুবকের ‘নম্বর’ থেকে মায়ের কাছে চাঁদা দাবিট্রলার-স্পিডবোট সংঘর্ষ: নিখোঁজ যুবকের ‘নম্বর’ থেকে মায়ের কাছে চাঁদা দাবি

স্বজল দাসের বাড়িতে ফোন করার বিষয়ে নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এটা মনে হয় ভাওতাভাজি। সম্ভবত সজলের মোবাইল ফোন ক্লোন করে পরিবারের কাছে টাকা পয়সা চেয়েছে কোনো একটি চক্র।’