নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে তীব্র শীতে সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। গেল দুই থেকে তিন দিন ধরে তাপমাত্রা নিচের দিকে। তবে চলতি শীতে আজকেই প্রথম দুপুর গড়িয়ে গেলেও নাটোরে সূর্যের দেখা মিলছে না। এদিকে দুপুর দুইটার পর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, সোমবার ভোর ৬টায় সর্বনিু তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে নাটোরে আবহাওয়া অফিস না থাকায় নির্দিষ্টভাবে জেলার তাপমাত্রা জানা যায়নি।এদিকে তীব্র শীত ও সূর্যের দেখা না মেলাতে চরম বিপাকে পড়েছে দিনমজুররা। প্রতিদিনের আয়েও ভাটা পড়েছে তাদের।
সদর উপজেলার চন্দ্রকলা এলাকায় দিনমজুর জমিন আলী বলেন, কনকনের শীতে এমনিতেই কাজে যেতে কষ্ট হয়। আজকে আবার সূর্য উঠেনি। শীত মনে হয় একটু বেশি লাগছে।
বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুতকারী গাছী কাবিল হোসেন বলেন, এই কয়েকদিনের ভেতর আজকেই বেশি কুয়াশা এবং ঠান্ডা। ঠান্ডা বেশি হলে আমাদের রস বেশি পাওয়া যাবে। কিন্তু দুপুরের পর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে বৃষ্টি পড়লে তো রস সংগ্রহ করা যাবে না।
নাটোর শহরের রিকশাচালক নজরুল ইসলাম বলেন, আজকে সকাল থেকেই প্রচুর কুয়াশা এখনো রোদ উঠেনি। লোকজন রাস্তায় কম। দুপুরের পর থেকে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখনতো লোকজন আরও বের হবে না। আজকে তেমন ভাড়াও হয়নি।
এবিষয়ে নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ঘন কুয়াশায় আলু, ছিম এ জাতীয় ফসলের কিছু সমস্যা হতে পারে। তবে তার আগেই আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদেরকে জানিয়ে দেন এ সময়ের জন্য কি পরিচর্যা করতে হবে। আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দীর্ঘ সময় হলে ফসলের ক্ষতি হবে। তবে রোদ উঠে গেলে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা ।#