পুলিশ বাহিনীতে গৌরবের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি। মধুপুর সার্কেলে যোগদানের প্রথম ১৩ মাসে ১১ বার শ্রেষ্ঠত্বের গৌরব অর্জন করেন তিনি। শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পুরস্কার জয় করেন আটবার। আইজিপি পদকও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
কর্মক্ষেত্রে সব ধরনের অপরাধ, মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে আপসহীন এক পুলিশ কর্মকর্তা জেমি। পুলিশি বা আইনি সেবাপ্রত্যাশীদের জন্য তাঁর দরজা সব
সময় উন্মুক্ত। জনগণ ও দেশের সেবায় অবিচল তিনি।
টাঙ্গাইলের মধুপুর সার্কেলের মধুপুর ও ধনবাড়ী থানায় প্রায় ২০ মাস ধরে দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেল নানা তথ্য। তিনি জানান, তাঁর ঘরে নতুন অতিথি (সন্তান) আসছে। এ অবস্থায়ও গত দুই মাস প্রচুর কাজ করেছেন। চাকরি জীবনে এ দুই মাসের মতো কাজ কখনও করেননি। ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও। দুই থানার তরুণ পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অপরাধীদের আটক, স্পর্শকাতর মামলার আসামি গ্রেপ্তার, মাদক দমন অভিযানসহ নানা পুলিশি কাজে সফল হয়েছেন। শারীরিক বা পরিবেশ প্রতিকূলতায়ও দমে যাননি। প্রতিটি সফল অভিযানের জন্য তাঁর সহযোগী পুলিশ সদস্যদের পরিশ্রম ও মেধার প্রশংসা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জেমি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অত্যন্ত ধৈর্যশীল থাকতে হয়েছে পুলিশকে। কৌশলী পেশাদারিত্বের কারণে ধনবাড়ী ও মধুপুর উপজেলায় আন্দোলনকালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এটি তাঁর জন্য একটি বিশেষ অর্জন। মধুপুর-ধনবাড়ীকে শান্তির জায়গা উল্লেখ করে এ অঞ্চলের নাগরিকেদের প্রশংসা করেন তিনি।
তাঁর ভাষ্য, কর্মক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন, বাহিনীর মর্যাদা বৃদ্ধির কার্যকারণসহ বিভিন্ন ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রতি বছর পুলিশ সপ্তাহে মনোনীত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের আইজিপি ব্যাজ নামে পদক দেওয়া হয়। ‘আইজিপিস এক্সাপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ পুলিশ বাহিনীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক, যা অর্জন করেছেন তিনি।
মাগুরা জেলার পশ্চিম স্টেডিয়াম পাড়ায় জন্ম পুলিশ কর্মকর্তা ফারহানা আফরোজ জেমির। শিক্ষাজীবন শেষে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হিসেবে রংপুরে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ৩৬তম বিসিএসে সহকারী পুলিশ সুপার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালে ৩ সেপ্টেম্বর যোগ দেন। পুলিশি কর্মজীবনে গাজীপুর জেলা পুলিশের এএসপি ট্রাফিক ও পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের এএসপি এসএসএফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পর ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল যোগদান করেন মধুপুর সার্কেলে। ব্যক্তিজীবনে ফারহানা আফরোজ জেমি যমজ কন্যা সন্তানের জননী। শিগগির আবার মা হতে চলেছেন। তাঁর স্বামী শহিদুল ইসলাম সাব-রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত।