খালেদ আহমেদ, পাবনা :
পাবনা ১ আসনের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প ও কৃষিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ২০০৬ সালের ১৩ অক্টোবর পাবনা সার্কিট হাউজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা ভেঙে ফেলা হয়।
গতকাল ২৫ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটায় পাবনা সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে নিজামী এর ছেলে ব্যারিস্টার মাওলানা নাজিবুর রহমান মোমেন জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পাবনা সার্কিট হাউজে মুনাজাত করে সেই ফলক নতুন করে উম্মোচন করেন।
এর আগে সেখানে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর নিজামীকে বলেন স্যার পাবনায় কোন সার্কিট হাউস নাই। তখন নিজামী বললেন যেটা আছে সেটা কি? উত্তরের ডিসি বলেছিলেন এটা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রেস্ট হাউস। তখন নিজামী বললেন ঠিক আছে পাবনায় সার্কিট হাউজ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। পরবর্তীতে একটি বাজেট পাস করে পাবনায় সার্কিট হাউজ উদ্বোধন করলেন। ২০০৮ সালের পরে সেই ফলক ভেঙে দিয়ে উনার নাম মুছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিতিতে ছিলেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) ওয়ালিউর রহমান রুবেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) রেজিনূর রহমান, মেডিসিন এন্ড ফুড ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন পাবনার যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মাওলানা মরহুম আব্দুস সুবহান’র ছেলে আব্দুল হালিম লালসহ পাবনা ও সাঁথিয়ার অনেক জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য নাজিব গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সকাল ৯ টায় জলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম কর্তৃক ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন। তারপর নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে নাজিব আরিফপুরে পাবনা কেন্দ্রীয় গোরস্থানে সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুস সুবহান ও শহীদ নিলয়’র কবর জিয়ারত করেন। এরপর সকাল সাড়ে দশটায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তারপর চাঁপাবিবি মসজিদের সামনে থেকে উপস্থিত নেতা কর্মীদের সাথে পথসভা করে শহীদ চত্বরে এসে শেষ করেন। সবশেষে জামায়াত নেতৃবৃন্দ সাথে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে বিসিক বিজয় মেলা পরিদর্শন করেন।