চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এরমধ্যে প্রধান আসামি চন্দন দাসকে সাতদিন ও রিপন দাসকে পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে সিএমএম স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এর আগে পুলিশ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে উভয়ের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি চন্দন দাসের সাতদিন এবং অপর আসামি রিপন দাসের পাঁচদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সকাল থেকেই আদালতপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সিএমপি জানায়, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে বৃহস্পতিবার ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানা এলাকা থেকে আরেক আসামি রিপন দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, গ্রেপ্তার রিপন দাস এজাহারনামীয় আসামি নয়। আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় পাওয়া ভিডিও ফুটেজে ‘নীল রঙের গেঞ্জি হাতে বটি’ নিয়ে দেখা গেছে তাকে। এতে পুলিশের তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে আলিফ হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয় রিপন দাসকে। ভৈরত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসকে।
গত ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার পর হাজারের বেশি অনুসারী প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ, সোয়াট, বিজিবি লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওইদিন কর্মস্থল আদালতপাড়া থেকে বাসায় ফেরার পথে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে চিন্ময় অনুসারীরা।