গাজার পর লেবাননে একের পক এক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে ইরান। রাজধানী তেল আভিভসহ সর্বত্র এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। এর জেরে দ্রুত দেশের মানুষকে নিরাপদ বাঙ্কারে পাঠাতে বাধ্য হয় ইসরায়েলের প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইসরায়েলের আকাশসীমা। এরে জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাঘচি দেশটির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জাতিসংঘের সনদের ৫১ নম্বর ধারায় আত্মরক্ষার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সেই ধারা মেনেই ইসরায়েলে আক্রমণ চালানো হয়েছে। কারণ, ইসরায়েল গাজা ও লেবাননে গণহত্যা চালাচ্ছে।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে আব্বাস আরাঘচি লেখেন, এর আগে ইরানের ভেতরেও হত্যালীলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সে কারণেই আত্মরক্ষার তাগিদে ইরান এই পদক্ষেপ নিয়েছে। বস্তুত, লেবাননে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ইরানের মদতপুষ্ট, এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ইরানও এ কথা অস্বীকার করে না।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। প্রথমত, ইরান যাকে ‘গণহত্যা’ বলে ব্যাখ্যা করেছে, ইসরায়েল তা গণহত্যা বলে মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, বেছে বেছে গাজা বা লেবাননে বেসামরিক মানুষের ওপর তারা আক্রমণ করেনি। কেবল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে।