নাটোর প্রতিনিধি
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরে রেখেছিল। দেশে স্বাধীন ভাবে সংবাদ পরিবেশনের কোন পরিবেশ ছিলো না। সরকার আমার দেশসহ অনেক গণমাধ্যম জোর করে বন্ধ করেছিল। আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপরে অর্কথ্য নির্যাতন করেছিল। মাহমুদুর রহমানসহ অনেক সাংবাদিককে আটক করে জেলে পাঠিয়েছিল। তবে অনেক সাংবাদিক আবার সরকারের দালালী করতে গিয়ে গণমাধ্যমকে ধ্বংস করেছে। যার মূল্য দিতে হয়েছে পুরো জাতিকে। তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যম ধ্বংস হলে পুরো জাতিও ধ্বংস হয়ে যাবে। দুলু বলেন, বিএনপি আগামী দিনে ক্ষমতায় আসলে গণমাধ্যমকে অবাধ স্বাধীনতা দেয়া হবে। শনিবার বিকেলে নাটোরের ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন। ক্লাবের সভাপতি মোঃ নাসিম উদ্দিন নাসিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, নাটোর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম, নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, জেলা সার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম। উপস্থিত ছিলেন এনডিসি রাশিদুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল আওয়াল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলি প্রমুখ। এর আগে বেলা ১২টার দিকে নাটোর শহরের বড় হরিশপুর শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে নাটোর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন এর আয়োজনে শ্রমিকদের মধ্যে ১০০ জন মৃত চালক ও চালকের সহকারীর পরিবারের মাঝে মৃত্যুকালীন সাড়ে বার হাজার টাকা করে ও বিবাহ কালীন ৪০০ জনের মাঝে তিন হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। এই অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। এখানে তিনি বলেন, শ্রমিকের নামে কোন চাঁদাবাজি নাটোরের মাটিতে হবে না। অতীতে যারা শ্রমিকদের ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করেছেন তারা সাবধান হয়ে যান। শ্রমিকদের টাকা নিজেরা ভাগাভাগির দিন শেষ, প্রকৃত শ্রমিক, নির্যাতিত ও দরিদ্ররাই এর দাবিদার। তারাই এসব অর্থ পাবেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আবু রায়হান ভুলু, নাটোর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম বুলবুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ সহ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
