মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার : কাতার রাষ্ট্রে ভালো বেতনে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা, প্রাণে হত্যার হুমকিসহ ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-এর ৪নং আমল আদালত এর বিজ্ঞ বিচারক। আদালতে দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানা গেছে- বিগত ০৪/০৯/২০২৪ইং, ও ২০/১২/২০২৪ইং পৃথক পৃথক সময়ে সেলিম মিয়া, রুমেল মিয়া ও আলাল মিয়াকে কাতার রাষ্ট্রে উচ্চ বেতনে (৪০,০০০/টাকা) চাকুরী দেওয়ার কথা বলে জন প্রতি ৫ লক্ষ টাকা করে মোট ১৫ লক্ষ টাকা চুক্তি করেন রাজনগর ইটা চা-বাগান এলাকার শরাফত আলী। এ কাজে সহযোগীতা ও জামিনদার হিসাবে টাকা গ্রহন করেন বাংলাদেশে অবস্থানরত মারফত আলী (৪৫), আছিয়া উরফে সুফিয়া (৩১), মাহির মিয়া (৫৫) ও নাজমা বেগম (৩৫)। চুক্তি অনুসারে ১৫ লক্ষ টাকার মধ্যে- ১২,৫০,০০০/-টাকা পরিশোধ করেন। রুমেল মিয়া ও সেলিম মিয়া-কে গত ২৭/১২/২০২৪ইং তারিখে বাংলাদেশ হইতে তাদের ফ্লাইট হওয়ার পর কাতার দোহা হামাদ ইন্টারন্যাশনাল বিমান বন্দর হইতে নিয়া অজ্ঞাত স্থানে একটি রুমে রাখে। সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও তাদের বিষয়ে কোন সমাধান কিংবা একামা লাগাইয়া না দিয়া শরাফত আলী অন্যত্র চলে যান। বর্তমানে সেলিম ও রুমেল পুলিশের ভয়ে কাতার রাষ্ট্রে ফেরারী অবস্থায় অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন পার করছে। অপর দিকে, আলাল মিয়ার মেডিকেল জটিলতার কারণে তার ভিসা বাতিল হয়। এ বিষয়ে সঠিক কোন সমাধান না পেয়ে মারফত আলী (৪৫), আছিয়া উরফে সুফিয়া (৩১), মাহির মিয়া (৫৫) ও নাজমা বেগম (৩৫)-কে আসামী করে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-এর ৪নং আমল আদালতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন-২০১৩ইং সংশোধনী-২০২৩ইং এর ৩১ (ক) (খ) (ঘ) ও ৩৬ ধারায় মামলা ( নং-৬০/২৫ (রাজ) দায়ের করেন- একই উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের ভুক্তভোগী কয়েছ মিয়া।
