স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা বিএনপির গাড়িবহরে হামলা ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত বলে দাবি করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিক উজ্জামান।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের চৌরঙ্গীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক।
শরীফ রফিক উজ্জামান বলেন, এই বর্বর হামলার পর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছেন। যার একটির সঙ্গে অপরটির কোনো মিল নেই। আওয়ামী লীগের এই অসংলগ্ন বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যার দায় স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।

শরীফ রফিক উজ্জামান আরও বলেন, আমরা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলার সঙ্গে সক্রিয় ভাবে জড়িত, পরামর্শদাতা, ইন্ধনদাতা এবং অর্থ জোগদানদাতাদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হোক।

রাজনীতিতে সব সময়ই একটি সহাবস্থান থাকে। সারা দেশেই এটি কম-বেশি আছে। কিন্তু গোপালগঞ্জ এর ব্যতিক্রম দাবি করে শরীফ রফিক উজ্জামান বলেন, গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাইরে কোনো দলকে রাজনীতি করতে দেওয়া হয় না। শুধু বিএনপি নয় অন্য কোনো দলকেও তারা মিটিং মিছিল করতে দেয়নি। আওয়ামী লীগ মনে করে বিএনপি যদি মুক্তভাবে রাজনীতি করতে পারে তাহলে তাদের একক আধিপত্য থাকবে না এবং এক সময় তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হবে এবং পরাজিত হবে। সে কারণেই তারা বিএনপিকে গত ১৮ বছর কোনো অনুষ্ঠান করতে দেয়নি। কোনো দোয়ার অনুষ্ঠানও করতে দেওয়া হয়নি। তারা অত্যন্ত ভীতু এবং আতঙ্কিত।

শরীফ রফিক উজ্জামান আরও বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুইবার, সেলিমুজ্জামান সেলিম ফারুক খানের বিরুদ্ধে দুইবার নির্বাচন করেছেন। তারা মনে করে এরা যদি এভাবে নির্বাচন করতে থাকে তাহলে এক সময় না একসময় জনগণ এদের গ্রহণ করবে, আর তাদের পরাজয় ঘটবে। সে কারণেই তারা ষড়যন্ত্র করে এই নেতৃত্বকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করার জন্য বা সমূলে বিনাশ করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করেছে। এটা আওয়ামী লীগের পূর্ব পরিচিত বৈশিষ্ট্য। আওয়ামী লীগ তাদের নিজের দলেও উদীয়মান নেতাকে হত্যা করে। তাদের দলের সত্যবাদী, ন্যায়বাদী এমপিদের হত্যা করেছে। দেশে স্বাধীনতার পর এ রকম অনেক ইতিহাস আছে । সে আলোক এই আমরা মনে করি যে শেখ সেলিমসহ শীর্ষ নেতারা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে মদদ দিয়েছেন, অর্থ দিয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন।