সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়া সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরের ‘৯ম কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন মেজর জেনারেল মো: হাবীব উল্লাহ, এসজিপি, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, চেয়ারম্যান, সেনা কল্যাণ সংস্থা। রবিবার সকালে সেনানিবাসে অবস্থিত আর্মার্ড কোর সেন্টার এন্ড স্কুলের শহীদ লেফটেন্যান্ট বদিউজ্জামান প্যারেড গ্রাউন্ডে ঐতিহ্য ও রীতি অনুযায়ী সাঁজোয়া কোরের কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্ট অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান জিওসি ও বগুড়া এরিয়া কমান্ডার, সাঁজোয়া পরিদপ্তরের পরিচালক এবং কমান্ড্যান্ট আর্মার্ড কোর সেন্টার এন্ড স্কুল। অনুষ্ঠানে সাঁজোয়া কোরের জ্যৈষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার মেজর জেনারেল হাবীব উল্লাহ কে কর্নেল র্যাংক ব্যাচ পরিয়ে দেন। এসময় সাঁজোয়া কোরের সকল ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল মেজর জেনারেল মো: হাবীব উল্লাহ কে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করেন। এরপর কর্নেল কমান্ড্যান্ট মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সাঁজোয়া কোরের বীর শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘সাঁজোয়া চিরন্তন’ এ পুষ্পকস্তবক অর্পণ করেন।
এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও বগুড়া এরিয়ার বিভিন্ন পদবীর সদস্যবৃন্দ, সাঁজোয়া কোরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাঁজোয়া ইউনিট সমূহের অধিনায়কগণ এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অভিষেকের পর নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্ট তার বক্তব্যে সাঁজোয়া কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় সাঁজোয়া কোরের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য সাঁজোয়া কোরের সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি সাঁজোয়া কোরের মূলমন্ত্র ‘প্রাণ দেব, মান নয়’ এই চেতনাকে ধারণ করে সাঁজোয়া কোরের সকল সদস্যগণ দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, সাঁজোয়া কোরকে বলা হয় কিং অব দা ব্যাটেল বা যুদ্ধের রাজা। যেকোনো যুদ্ধের জয় পরাজয় নির্ধারণে এই কোরের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্মুখ সমরের অগ্রসেনা সাঁজোয়া কোরকে তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জ্যৈষ্ঠতম কোর হিসেবে গণ্য করা হয়।