এনামুল হক টগর
বিমগ্ন বিকেলের সমুদ্র সৈকতে বসে আছি একা একা নিরিবিলি নিরব।
সমুদ্রের বিশাল গর্জন তুফানে মাঝে মাঝে সৈকত কেঁপে ভয়ংকর গজব!
বিক্ষিপ্ত ঝড়ের রাতে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে আমি হাঁটতে লাগলাম দ্রুত বহুদূর –
বৃক্ষ গুলো হাঁটতে পারলে আমার সাথে হেঁটে যেতো চলমান সময়ের পথে আপন নীড়।
কিছুক্ষণ আগে সূর্য তাঁর কক্ষপথে চলে গেছে নতুন সকালের আগমন রৌদ্রের দিন!
সাগরের পানি বাষ্প হয়ে মেঘ জমাট বাঁধে আকাশে পরষ্পর বিদ্যুৎ ঘর্ষণে বর্ষণ!
প্রবাহমান নদীগুলো বিপুল আলোর চেতনায় মৃত্তিকার বুকে শস্য ফলায় জীবনের রসদ।
আমি নিরাপদ উঁচু ভূমির দিকে ছুটে যাই কাঁকড়া শামুকগুলো নিরুপায় শ্রেণিভেদ।
বৃক্ষগুলো আঘাতে ক্ষতবিক্ষত পড়ে আছে আগুনের কাঠ পুড়ে কয়লা হবে অভেদ!
তুফান শেষে প্রভাতের আভায় পুনরায় সমুদ্র সৈকতে নতুন সূর্য উঠবে উজ্জ্বল কিরণ।
সাগর এক গভীর চেতনায় মানবের হিয়ায় বৃহৎ অনুরূপ অনাদি জগত চিরন্তন !
মানুষের চারপাশে যা অপছন্দ যা ঘৃণার তাও স্রষ্টার সমগ্ৰের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন!
তপস্যায় নিজ দেহ ভ্রমণে মহাত্মার গভীরে বিশ্বত্মার বসন্ত প্রেম পরিচয় পুষ্প চন্দন!
কাঁচা মাটির গভীরে বিশাল খনিজ সম্পদ দেহ রাজ্যের গভীর উদ্যানে মহামূল্যবাদ গুপ্তধন!
সমুদ্র স্বপ্ন দেখে মানুষ স্রষ্টার আবরণ সবুর চিত্তে মহান নিদর্শন ঢেউগুলো অবনত বিনয়!
তাল পাতার বাঁশি সুর তোলে সৈকতে অনাগত শিশু নতুন দিনের প্রতিক্ষায়!
প্রিয় আত্মা তুমি ছাড়া দেহ বৃক্ষের অনুরূপ ভেঙে পড়ে যন্ত্রণায় দাউ দাউ স্বপ্ন আশায়!
শরীর জর্জরিত ব্যথায় আগুনে পুড়ে পুড়ে পরশ পাথরে মিলন অমৃত সুধায়!
সাধকের চোখের জলে হৃদয়ের বাগিচায় পুষ্প ফোটে সুদূর আলোকপ্রাপ্ত জীবন সমুজ্জল!
কৃষাণ কৃষাণীর কর্ম ভ্রমণে বীজের খোলস ভেঙে অঙ্কুরিত চারাগাছের পাতা নির্মল!
স্রাষ্টার ঠিকানা মানব হৃদয়ে মহাকাল মহাসাগর ভ্রমনে দর্শন অন্তর সরল।
১৫/০১/২০২৫