সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপি’ র আহবায়ক সদস্যকে জেলা কমিটি সাময়িক বহিস্কারের প্রতিবাদ ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন শামসুর রহমান।
১৪ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সাঁথিয়া প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে তিনি সম্মেলন করেন।
ভিপি শামসুর রহমান বলেন ১৯৮০ সালে ছাত্র দলের সদস্য হিসেবে রাজনীতি শুরু করি। আমি বেড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯০ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হই। তখন থেকে আন্দোলন সংগ্রামে জন্য জেল – জুলুম, মামলা হামলার শিকার হয়েছি। লোভনীয় কোনো চাকুরী, ব্যবসা আমাকে আকর্ষিত করতে পারেনি, জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও জাতীয়তাবাদী চেতনা আমাকে আকৃষ্ট করেছে। পৈতৃক জমি বিক্রি করে এই রাজনীতির পিছনে অর্থ খরচ করে তিলতিল করে এতদূর এসেছি শুধু মাত্র দেশ, দল,জিয়া পরিবার ও আপনাদের ভালবাসার টানে।
১৯৯৬ পরবর্তী আওয়ামী সরকারের মামলা হামলা হয়রানির মধ্যেই সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে নেতাকর্মীদের সরাসরি ভোটে, বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই, অতঃপর তিনবার সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি।
পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে দলের সিদ্ধান্ত মেনে ২ বার উপজেলা নির্বাচন করে, দলীয় একাধিক প্রার্থী থাকা সত্বেও বিপুল ভোট পেয়ে, ভোট ডাকাতি করে বিজয়ী হওয়া প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছি।
৪৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনো একটা শোকজ পর্যন্ত হয়নি আমার বিরুদ্ধে, আমার আচরণে দল সর্বদা সন্তুষ্ট থেকেছে। হঠাৎ করে ৫ তারিখের পট পরিবর্তনের পরে দীর্ঘ ৬ বছর পর সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়, যাতে ভিন্ন উপজেলার একজন ভদ্র মহিলাকে আহবায়ক করা হয়, যে কিনা আওয়ামী স্পীকার শিরিন শারমিনের ঘনিষ্ঠজন ও গোপালগঞ্জের শেখ পরিবারের বধু, তিনি এতবছর এনজিও ব্যবসা করে এসে হঠাৎ হয়ে গেলেন আহবায়ক, আরেকজন সদস্য সচিব দীর্ঘ সময় পুলিশে চাকরি করা, ওনারা কেউই রাজপথে ছিলেন না।
২৪ সদস্যের মধ্যে অধিকাংশ অরাজনৈতিক ও মাঠের বাইরের কর্মী এমনকি ভিন্ন দলের চিহ্নিত দুজন নেতাও আছেন ওই কমিটিতে ।
সাঁথিয়া উপজেলায় অসংখ্য যোগ্য নেতৃত্ব রয়েছে, যারা কিনা ছাত্র দল থেকে উঠে আসা, এছাড়াও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে, আজ অনেকেই নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করেছেন, তাদের সাথে এমন চরম অবিচারের, বিচার চেয়েও আমরা কোথাও বিচার পাইনি।
তিনি প্রশ্ন করে বলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কর্মী সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করলে সমর্থিত নেতাকে বিনা নোটিশে বহিষ্কার করা যায়? যোগ্যদের বঞ্চিত করে, জনসমর্থনহীন অযোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়া হলো কোন বিচারে?
আমি এই বিচার, মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দেশবাসী সর্বপরি আমার নিজ এলাকার গন মানুষের কাছে দিলাম, আপনারাই এর বিচার করবেন। তিনি সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে ধৈর্যের সঙ্গে সকল পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ উপায়ে মোকাবিলা করার আহবান করেন নেতা কর্মীদের। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কাজি রাফিকুল ইসলাম সাবেক সহসভাপতি উপজেলা বিএনপি, ফজলুর রহমান সাবেক সহসভাপতি উপজেলা বিএনপি, ফজলুলবারী সান্টু সাবেক সহসভাপতি উপজেলা বিএনপি, আজিমুদ্দিন খান সভাপতি নন্দনপুর ইউনিয়ন বিএনপি, শাহজাহান আলীসহ বিভিন্ন পরযায়ের নেতাকর্মী। এর আগে শামসুর রহমান নেতা কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগানে মিছিল করেন।
উল্লেখ্য গত ১০/০১/২০২৫ তারিখে বিভিন অভিযোগে জেলা কমিটি শামসুর রহমানকে সাময়িজ বহিস্কার করে।