বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পাবনায় এক ব্যক্তির এন্টি এইচসিভি টেষ্টে শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেন্ট্রাল হাসপাতাল এবং ল্যাব এইড তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিন রকম রেজাল্ট। আমার পরীক্ষা সঠিক দাবি তিন সেন্টারেরই। রোগী আতংকে পাগল প্রায়।
সদর উপজেলাধীন শানিকদিয়ার গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে (ভুক্তভোগী) মোঃ রাসেল হোসেন(২৬) গত শনিবার ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬ টায় জন্ডিস জনিত সমস্যার কারনে শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করায় শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ড. মশিউর রহমান মিয়া (টুটুল) এর কাছে চিকিৎসার জন্য যান।
ডাঃ তাকে এন্টি এইচসিভি টেষ্ট করতে বললে সে শিমলা হাসপাতালে টেষ্ট করান। টেষ্টে ৩.০৭ রেজাল্ট আসে যা লিভার সম্পূর্ণ পঁচা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এতে আতংকিত হয় ভুক্তভোগী রাসেল।
এই রেজাল্টে কোন ভুল আছে কিনা যাচাই করার জন্য রাসেল ল্যাব এইডে রক্ত দেন। সেখানে ০.০২ অর্থাৎ সুস্থ রেজাল্ট আসে।
সেটাও কতখানি সঠিক যাচাই করার জন্য আবার পাবনা সেন্ট্রাল হাসপাতালে পরীক্ষা করান। এবার ০.০১০ রেজাল্ট আসে যা নেগেটিভ বা সুস্থ হিসাবে বিবেচিত হয়।
ভুক্তভোগী রাসেল বিশ্বাস করতে পারছেন না কোন রিপোর্ট সঠিক!তারপর আলোচনার জন্য সে রোববার দুপুরে আবার শিমলায় গেলে বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসে।
ঘটনার গভিরের খবর জানতে সিএনএফ টিভি টিম প্রথমে শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায় এবং তাদের স্টাফ ও ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কথা বললে তারা তাদের রেজাল্ট শতভাগ সঠিক বলে দাবি করেন।
এর পর পাবনা সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও ল্যাব এইডও একই দাবি করেন।
সাংবাদিকরা তিনটি হাসপাতালের তথ্য সংগ্রহ করে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি কোন প্রতিবেদন সঠিক আর কোনটা ভুল। তবে তিনটি হাসপাতালের দুই হাসপাতালের রেজাল্ট নেগেটিভ শুধু শিমলার পজিটিভ।
রোববার রাতে ভুক্তভোগী রাসেলের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো তাদের পরীক্ষা সঠিক প্রমাণ করার জন্য আবারো আমার রক্তের স্যাম্পল নিয়েছে। বিশেষ করে শিমলার নাম উচ্চারন করে বলেন তারা আবার পরীক্ষা করতে স্যম্পল ঢাকায় পাঠিয়েছে। শুনেছি বাংলাদেশের সেরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে এ পরীক্ষা করা হবে। আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট হাতে পাবো।
এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় পাবনা সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান’র সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বলেন আমি আজ সময় দিতে পারবোনা। এরকম ঘটনা ঘটেছে তা কিছুই জানিনা বা কেউ জানায়নি। আমি রেজাল্ট না দেখে কিছুই বলতে পারবোনা। আগামীকাল আসেন বিষয়টি দেখবো।