দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠকে ব্লিঙ্কেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আল জাজিরা জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেন যখন সিউলে বৈঠক করছিলেন, ঠিক তখনই সাগরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) উত্তর কোরিয়া থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ১১০০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে উড়ে গিয়ে কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমায় পড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এটি একটি মাঝারি পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই স্যাং-মোকের সঙ্গে বৈঠকের পরপরই ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনার পর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে পড়েছে। এতে কোনো জাহাজ বা বিমানের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ব্লিঙ্কেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো তায়ে-ইউল উভয়ই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার এমন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা করেছেন। ওয়াশিংটনের শীর্ষ কূটনীতিক এটিকে ‘জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের একাধিক প্রস্তাবের আরেকটি লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।

ব্লিংকেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিউলে আমার সফরের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হলো। আজকের এই উৎক্ষেপণ আমাদের সবাইকে শুধু মনে করিয়ে দিচ্ছে, আমাদের সহযোগিতামূলক কাজ কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বেপরোয়া উত্তর কোরিয়াকে বাধা দিতে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সহযোগিতা আরও গভীর করে তোলা দরকার।

এর আগে সবশেষ গত ৫ নভেম্বর পূর্ব উপকূল থেকে অন্তত সাতটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পিয়ংইয়ং। এরপর আজ ব্লিঙ্কেনের সফরের সময় এটি ছোড়া হলো।

সিউল থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক প্যাট্রিক ফোক বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের এই সময়টি বেশ কয়েকটি কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এ ঘটনা ঘটলো।

দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা গত মাসে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসন ও দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করার পক্ষে ভোট দেন। সাংবিধানিক আদালতে ইয়ুনের অভিশংসন বিচারের শুনানি চলছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার তদন্তকারীরা সাবেক নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশটি একটি রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবেলা করছে।