জন্মদিনে নাকি বলি‘ভাইজান’খ্যাত অভিনেতা সালমান খান পার্টি দেবেন না। বাইরের কেউ ডাক পাবেন না তার জন্মদিনের আগাম নৈশপার্টিতে, তাই তার জন্মদিনে কোনো পার্টি হবে না—এমনই কথা ছিল। কিন্তু ভাইজানের জন্মদিনে কোনো পার্টি হবে না—এও কি সম্ভব?
৫৯তম জন্মদিনে সালমান খান পার্টি করেছেন ঠিকই, তবে উপরিউক্ত শর্ত অক্ষরে অক্ষরে মানা হয়েছে। আঁটসাঁট নিরাপত্তায় বাইরের ‘মাছি’টিও খানদানের অন্দরে গলতে পারেনি। তাতে অবশ্য জমায়েতে ভাটা পড়েনি। লতাপাতায় খান পরিবারের সঙ্গে জড়িত প্রায় সবাই ২৬ ডিসেম্বর রাত থেকে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে ছিলেন সালমান খানের দেহরক্ষীরাও।
রাত যত গভীর হয়েছে, মুম্বাই ততই লাস্যময়ী ও আগাগোড়া। ২৫ ডিসেম্বর বলি তারকারা ঝেঁটিয়ে নৈশপার্টিতে মেতেছিলেন। খান পরিবার সেই দিন থেকেই তৈরি ছিল। ২৬ ডিসেম্বর ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টার দিকে এগিয়েছে। গাড়ির ভিড় বেড়েছে আবাসনের সামনেও। সালমানের জন্মদিনেই জন্মদিন তার ভাগনির। খানদানের অন্দরমহল লোকে লোকারণ্য। টেবিলে রেড ভেলভেট থেকে তিন থাকের রামধনু কেক, চকলেট কেকের সারি। কালো টি শার্ট, বাদামি জ্যাকেট আর জিন্সে সেজে ‘বার্থ ডে বয়’। একের পর এক কেকের বুকে ছুরি বসিয়ে গেছেন তিনি। বাড়িতে কচিকাঁচা থেকে বর্ষীয়ানদের উল্লাসের মচ্ছব।
সেই জন্মদিনের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কেবল যেন হাসি নেই ‘কিসি কি ভাই কিসি কা জান’-এর মুখে। চোখের কোলে ক্লান্তি ভর করেছে।
জেঠুকে শুভেচ্ছা জানাতে পার্টিতে হাজির ছিলেন সোহেল খানের একমাত্র ছেলে নির্বাণ খানও। এসেছিলেন সস্ত্রীক অভিনেতা আয়ুশ খান, নিখিল দ্বিবেদী, গৌরি পণ্ডিত।
এদিকে ‘বিগ বস ১৮’-তেও ‘উইকঅ্যান্ড কা ভার’-এ সালমানের জন্মদিন পালনের আয়োজন করে। প্রথমে ঠিক ছিল— পুরো খানদান হাজির থাকবে সেখানে। কিন্তু পরে নিরাপত্তার খাতিরে সেই উদ্যোগ বাতিল করা হয়।