যশোরের পল্লীতে আদালতের ভুয়া ডিক্রি ও জাল দলিল বুনিয়াদে ভূমিদস্যুদের জমি জবর দখলের চেষ্টা

ইয়ানূর রহমান : যশোর জেলার কোতয়ালী থানার দোগাছিয়া মৌজায় অবস্থিত স্কুল শিক্ষক মোঃ লিয়াকত হোসেনের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১ দশমিক ৪০ একর জমি দখলের চেষ্টা করছে ভূমিদস্যুরা। তারা ১০/১১ জন মস্তান নিয়ে এসে যশোর দেওয়ানী আদালতের দেয়া ইনজাংশন আদেশ সম্প্রতি ভঙ্গ করে জমি দখলের চেষ্টা করে। পাশর্^বর্তী ইসলামপুর গ্রামের আবেদ আলী গং ওই জমির কাগজপত্র জালিয়াতি করলে এ ব্যাপারে জমির মালিক লিয়াকত হোসেন আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত লিয়াকত হোসেনের পক্ষে আদেশ দেন।

জানা গেছে, পৈত্রিক সূত্রে ১০০ বছর আগে পাওয়া ওই জমি ভোগ দখল করছে লিয়াকত হোসেন। কিন্তু ইসলামপুর গ্রামের আবেদ আলী গং ওই জমির কাগজপত্র জালিয়াতি করেন। যদিও বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। আদালত আবেদ আলীর আবেদন খারিজ করে ওই জমি লিয়াকতের বলে রায় প্রদান করেন। এতে মরিয়া হয়ে উঠেন আবেদ আলী গং। তারা আদালতের ভূয়া ডিগ্রি ও জাল দলিল করে। এই ভূয়া ডিগ্রি ও জাল দলিলের
বুনিয়াদে গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে জমি দখল করতে যায়। এ সময় ওই জমিতে শ্রমিক নিয়ে কাজ করছিলেন লিয়াকত হোসেন। ভূমিদস্যূ পাশর্^বর্তী ইসলামপুর গ্রামের আবেদ আলী, রহিমা বেগম, রহিমা বেগমের ছেলে আয়নাল হক এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন এসে গাছি দা, শাবল, রড, লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। লিয়াকত হোসেন পুলিশকে খবর দিলে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির
এএসআই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে লিয়াকত হোসেন ও তাদের লোকজনদের ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলেন। ওই ওই সময় ভূমিদস্যুরা লিয়াকত হোসেনের জমির সীমানা প্রাচীর নষ্ট করার চেষ্টা করে এবং ১০৫ টি সিমেন্টের খুঁটির কিছু ভেঙ্গে ফেলে ও জমির পরিচয় সম্বলিত সাইনবোর্ডটি তুলে নিয়ে যায়।

লিয়াকত হোসেন জানান, ভূমিদস্যুরা যশোর সদর ৩য় মুনসেফী বিজ্ঞআদালত নামীয় দেওয়ানী ৩৯৪/৬২ নং মামলার ভুয়া রায় ডিক্রি দ্বারা সৃজিত সদর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের জাল দলিল বুনিয়াদে কিছুদিন পূর্বে ওই জমিতে রোপণকৃত ৫০০টি কলাগাছ কেটে নষ্ট করে দেয় এবং জমির উত্তর সীমান্ত সংলগ্ন রাস্তার সরকারি গাছপালা কেটে নিয়ে যায়।

লিয়াকত হোসেন জানান, গত ২০ নভেম্বর পুলিশ সুপার বরাবর একটি আবেদন করে বিজ্ঞ আদালতের জারিকৃত ইনজাংশনের আদেশ বাস্তবায়নের সহায়তা চান। আবেদনটির বিষয় সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে লিয়াকত গত গত ২৬ ডিসেম্বর যশোর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করেছেন।
লিয়াকত হোসেন এখন জীবননাশের আশঙ্কায় ভুগছেন। যশোর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।