জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, শুধু একটা নির্বাচনের জন্য এতগুলো মানুষ জীবন দেয়নি। দুই হাজারেরও বেশি মানুষ জীবন দিয়েছে। ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা দেশের নানা সংস্কারের কথা বলেছেন, আমরা সংস্কারের দাবিগুলো পূরণ করব।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে যে এক দফা ছিল, সে এক দফা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ধ্বংস করা হয়েছে। সে জায়গা থেকে আমরা মনে করি, সংস্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় বালিয়াডাঙ্গীবাসী পৌরসভার দাবি করলে তিনি বলেন, পৌরসভা নিয়ে একটা রিভিও চলছে। দেশের কিছু পৌরসভা বাদ দিয়ে নতুন করে কিছু পৌরসভা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে প্রায় ৪০ শতাংশ রাস্তা পাকাকরণের বাকি আছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাতে প্রায় ৩০ শতাংশ রাস্তা পাকাকরণ বাকি রয়েছে। বালিয়াডাঙ্গীকে যাতে দ্রুত জাতীয় পর্যায়ের সমপরিমাণে নিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে আমরা কাজ করব।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এ উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য বালিয়াডাঙ্গীতে একটি লাইব্রেরি স্থাপনা করতে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। সামনের দিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আওতাধীন যে কোনো সমস্যা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে জানাবেন- আমরা বিশেষ গুরুত্বারোপ করব।
উত্তরবঙ্গকে নিয়ে এ উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের আমলে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো উন্নয়নের দিক থেকে অবহেলিত ছিল। শুধু কিছু কিছু জায়গায় উন্নয়ন সীমাবদ্ধ ছিল। যে অঞ্চলগুলো বৈষম্যের শিকার হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেসব অঞ্চলকে বেশি গুরুত্ব দেবে। আমরা কিছু দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হাতে নেব, যা এ সরকারের মেয়াদ শেষ হলেও জনগণ সেগুলোর সুফল ভোগ করবে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সরকারের যে সংস্কারের এজেন্ডা, গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের যে চাওয়া-পাওয়া সে সংস্কার কার্যক্রমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরদার মোস্তফা শাহিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) লিজা বেগম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস প্রমুখ।