ইয়ানূর রহমান : যশোর আদালত চত্বরে নাশকতার মামলায় আত্মসমর্পণ করতে এসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেয়ার প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ করেছে। তাদের এ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ আইনজীবীরাও অংশ নেন। সোমবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ বিক্ষোভ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তারা চোরা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। কোনো পরাজিত শক্তি যেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, নাশকতা মামলায় যশোরে আওয়ামী লীগের ১৬৭ নেতা-কর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। যারা জামিন অযোগ্য, তাদের বিচারক জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে যারা আদালত চত্বরে বিশৃঙ্খলা করেছে বা করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
বিগত সময়ে বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের ফ্যাসিজমের কারণে সাবেক প্রধান বিচারপতিকেও দেশ ছাড়তে হয়েছিল। বিচার বিভাগকে আর প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেয়া হবে না।
কর্মসূচিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার সদস্য সচিব জেসিনা মুর্শিদ, আইনজীবী রুহিন বালুজসহ অনেকেই বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, তিনটি নাশকতার মামলায় গত রোববার যশোরে আওয়ামী লীগের ১৬৭নেতা-কর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর মধ্যে বিচারক ৪২ জনের জামিন আবেদনমঞ্জুর করে বাকিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা আদালত থেকে প্রিজন্স ভ্যানে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দেন। এ সময় আদালত এলাকায় উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত
হয়। বিষয়টি নজরে আসায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।#