সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় বৈষ্যম্য বিরোধী ছাত্র সিমান্তকে(১৭)কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।সে উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের মরিচপুরাণ গ্রামের শাজাহানের ছেলে ও কাশিনাথপুর কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।সিমান্ত বৈষ্যম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় অন্যতম ভুমিকা রেখেছিল।
জানা যায়, শনিবার ২১ ( ডিসেম্বর) বিকেলে কাশিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আতিকের নেতৃত্বে কাশিনাথপুর কলেজ মাঠ হতে সিমান্তকে আটক করা হয়। আটকের পর পুলিশ তার কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সিমান্তের পরিবার টাকা না দেওয়ায় তাকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। এখবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত এলাকাবাসী পুলিশ ফাঁড়ি ঘিরে ফেলে এবং জানতে চান, কেন সিমান্ত আসামী না হলেও তাকে আটক করা হলো ? সমোচিত কোন উত্তর দিতে না পারায় এলাকাবাসী পুলিশ ফাঁড়ি ঘিরে রাখে।সাঁথিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ উপস্থিত হয়ে বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে থানায় নিয়ে আসে।পরে অফিসার ইনচার্জ জানান, সিমান্ত হত্যা মামলার আসামী না হলেও মামলার বাদি সাদা কাগজে সিমান্তের নাম দেওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একাধিক সুত্র জানান,থানা পুলিশ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সদস্য সিমান্তকে গ্রেফতার করেছে। এ মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হলেও মাত্র ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।অপর ২১ জন আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে অজ্ঞাত কারণে গ্রেফতার করছে না।
সাঁথিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ সাইদুর রহমান জানান,মামলার বাদি আলাদা কাগজে তার নাম দেওয়ায় তাকে গ্রেফতার ও হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সাঁথিয়ার গোপালপুর গ্রামের সাথে আমিনপুর থানার দ্বারিয়াপুর গ্রামের সংঘর্ষ হয়।এর প্রেক্ষিতে ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে সাঁথিয়ার গোপালপুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ছাতক বরাট গ্রামের শাহাদতের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৭) কে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের মা আয়শা খাতুন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন । সেখানে কোন অজ্ঞাত নামীয় আসামী উল্লেখ ছিল না।