রাজনগরে বাদীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্তের অভিযোগ

মামলা-হামলার ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায়

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: রাজনগর উপজেলার ৩ নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সোনাটিকি (সুপ্রাকান্দি) গ্রামে প্রতিপক্ষ সৈয়দ জুয়েল আলী গংদের আক্রমনে নিহতের মিছরাব খাঁনে (৪৫)-এর পরিবার পরিকল্পিত মামলা-হামলার ভয়ে নিরাপত্তাহীনতা ভোগছেন। নিহতের মা, মামলার বাদী, দুই স্ত্রী ১৫ মাসের শিশু সন্তান নিয়ে আতংকের মাঝে দিন কাটাচ্ছেন। এ ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের চাচাত্ব ভাই নুরুল আমিন খাঁন। রাজনগর থানা ও সংবাদ সম্মেলন সুত্রে জানাযায়- বাড়ির মৌরসী ও খরিদা ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব হতে বিরোধ ছিল। একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। সালিশ বৈঠক অমান্য করে পরিবারের ক্ষতি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ ডিসেস্বর শুক্রবার সৈয়দ জুয়েল আলী গংরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া জোরপূর্বক ভাবে মালিকানাধীন ডোবায় মাছ ধরতে যায়। সংবাদ পেয়ে বাঁধা দিতে গেলে সৈয়দ জুয়েল আলী গংরা উত্তেজিত হয়ে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে মিছরাব খাঁনকে হত্যা করে। এই ঘটনায় সৈয়দ জুয়েল আলী গং ৪৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে আর ৫০/৬০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে রাজনগর থানায় মামলা হয়। মামলার পর থেকে পুলিশের ভয়ে পুরুষেরা আতœগোপন করেন। আতœগোপনে থেকে নতুন ভাবে চক্রান্ত করে বাড়ি থেকে গরু বাছুর অন্যদেরে দিয়ে সরিয়ে ফেলে লুটপাটের নাটক সাজানোর চেষ্টা চলছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ। গত ৯ ডিসেম্বর হত্যার মামলার আসামীদের প্ররোচনায় আসামী সৈয়দ এমজাদ আলী কনা ও নুরুন বেগম এর গরু অন্যত্র সরিয়ে ফেলে লুট হওয়ার নাটক সাজাতে আলীচর গ্রামের ছকির উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম নামে দুই ব্যাক্তি বাড়ি থেকে গরু সরিয়ে নেওয়ার সময় এলাকাবাসী আটক করেন। পরবর্তীতে রাজনগর থানার পুলিশ খবর পেয়ে থানায় নিয়ে আসেন। পরে রাজনগর থানায় লিখিত অঙ্গীকারনামা দিয়ে গরু ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। এ ভাবে চলছে নিহতের পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানীর চক্রান্ত। সর্বশেষ পুলিশের উপস্থিতিতে গরুসহ মূল্যবান আসামী পক্ষের লোকজনদের হাতে তুলে দেয়া হয়। নিহত মিছরাব খাঁনের মা হাসনাত বেগম বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে সৈয়দ জুয়েল আলী, বিএস আলী, মোহামদ আলী, সৈয়দ জুলফকার আলী, সৈয়দ কবির আলী, সৈয়দ আইয়ুব আলী, সৈয়দ আবির আলী, সৈয়দ আবদাল আলী, সৈয়দ রফিক আলী, সৈয়দ মারজান আলী, সৈয়দ ইসমিন আলী গংরা আমাদের নিজের মালিকানা জমি তারা দখলে নিতে গিয়ে আমার একমাত্র ছেলেকে খুন করেছে। তার ১৫ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। আরেকটি সন্তান পৃথিবীর আলো দেখবে। খুনিরা নৃশংস ভাবে আমার ছেলেকে খুন করলো। ছেলের খুনিদের ফাঁসি দেখতে চাই। চাচাত্ব ভাই ইউপি সদস্য নুরুল আমিন খাঁন বলেন- কয়েক বার বিচারের তারিখ নির্ধারন করা হলেও পরে আর বিচারে বসেনা। বিচারের নমে সময়ক্ষেপন পরিকল্পিত ভাবে আমার ভাইকে তারা খুন করেছে। আমি স্থানীয় মেম্বার হিসাবে আসামীদের পরিবার পরিজন, মালামালের নিরাপত্তা দিচ্ছি। এরপরও আসামীরা পালাতক থেকে গরু বাছুর সরিয়ে লুটপাটের ঘটনা সাজনোর চেষ্টা করেছিল। পরে ধরা পড়ে থানায় বসে অঙ্গীকারনামা দেয়। আমার ভাই খুন হলো এখন তাদের চক্রান্তের শিকার।

লুটপাটের ঘটনা সাজনোর চেষ্টা করেছিল। পরে ধরা পড়ে থানায় বসে অঙ্গীকারনামা দেয়। আমার ভাই খুন হলো এখন তাদের চক্রান্তের শিকার।