সাঁথিয়ায় গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ উৎপাদন অধিক লাভবান কৃষক

আবু ইসহাক, সাঁথিয়া (পাবনা) ঃ

কৃষি প্রধান দেশে পাবনার সাঁথিয়া কৃষি উৎপাদনে জেলার মধ্যে দৃত্বীয় স্থানে রয়েছে। সাঁথিয়ায় মসলাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য উৎপাদনে যেমন সুনাম রয়েছে তেমনি অসময়ে কৃষি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। একই জমিতে তিন থেকে চার ফসল উৎপাদন করছে। এখন সারা দেশে চলছে পেয়াজ চাষের প্রস্তুতি। আর সাঁথিয়ার কৃষক পেয়াজ জমি থেকে উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করছে।
অফসিজন বা অসময়ের ফসল হিসেবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে এ বছর বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় বেশ ভালো উৎপাদন হচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে ফলন বেশি পাওয়া যাচ্ছে। নতুন প্রযুক্তিতে আবাদ করা এ পেঁয়াজ বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ৬৬-৮০ মণ। এতে বিঘা প্রতি প্রায় ৭০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে কৃষকদের। এই সময়ে বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে সাঁথিয়া উপজেলার কৃষি বিভাগ কৃষকদের পাশে রয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষী সাঁথিয়া পৌরসভার মুরাদুজ্জামান, নন্দনপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, কাশিনাথপুর ইউনিয়নের করিয়াল গ্রামের রজব আলী, শরিফ হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় জুলাই মাসে বীজ তলা তৈরী করে চারা উৎপাদন করে ৪০ দিন বয়সের চারা সেপ্টেম্বর মাসের ২য় সপ্তাহে জমিতে লাগানো হয়। পরিচর্জা, সেচ, সুষম সার প্রয়োগ শেষে ডিসেম্বরে প্রথম থেকেই পেয়াজ উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করছেন। তারা আরো বলেন গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ উত্তোলন করে এখন শীত মৌসুমের সিজনাল পেয়াজ চাষ হবে একই জমিতে। যার ফলে অধিক লাভবান হচ্ছেন তারা। আগামীতে আরো বেশী জমিতে গ্রীষ্ম কালীন পেয়াজ চাষ করবে বলে আশা করছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জীব গোস্বামী জানান, গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ উৎপাদন প্রনোদনা মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প, লাভজনক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় নাসিক রেড এন- ৫৩ জাতের পেয়াজ চাষ করা হয়। ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। গড় ফলন ৬৬-৮০ মন বিঘা প্রতি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিঘায় ৯০ মণের অধিক ফলন পাওয়া যায়।