অনাবিল ডেক্স ::
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহঃ মুনিরুজ্জমান বলেন, ডিজিটাল যোগে মানুষের সুবিধার জন্য এই ডিজিটাল জরিপ করা হচ্ছে। জমি এজমালি আর থাকবেনা। জমি হবে এখন থেকে একক মালিকানায়। ভূমি বিরোধ বিষয়টিকে জিরো পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান সরকার।
তিনি বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, আবার ফিরে যাব মাটিতে। আবার উত্থিত করা হবে মাটি থেকেই। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সব কাজ রেকড করছেন। কার কাজ বেশী ভালো তা জানার জন্য।
তিন বলেন, বিগত ফ্যাসস্টি সরকার দেশটাক লুটপাট করেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর দেশ এখন স্বৈরাচারমুক্ত। আমরা দেশটাকে এখন সুন্দর করে গড়ব।
এই জরিপ সম্পর্কে প্রচার প্রচারণা হয়নি বলে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে এর প্রচারনার জন্য তিনি কক্সবাজার এসেছেন। এই ডিজিটাল জরিপটা হচ্ছে সেটলাইট জরিপ। এটি নির্ভুল করার জন্য সর্ত্মক প্রচেষ্টা থাকবে।
ডিজিটাল জরিপ বিষয়ে এক অবহিত করণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মহাপরিচালক জরিপের সময় ভূমি মালিককে উপস্থিত থাকার এবং কাগজপত্রগুলো সাথে রাখার পরামর্শ দেন
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী আজ সকালে কক্সবাজার সদর উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভিশনকান্তি বলেন, এই ডিজিটাল জরিপের মাধ্যমে ভূমি বিরোধ কমে যাবে।
সভায় সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, আগের ভূমি আইনের জটিলতার কারণে তার দাদার আমলের মামলা এখনো তিনি টেনে চলেছেন। ডিজিটাল জরিপের পরেও একই অবস্থা থেকে গেলে কি লাভ হবে?ভূমি আইনের জটিলতার কারণে বংশ পরম্পরায় মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। এগুলো নিরসন করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হওয়া দরকার। তিনি আরো বলেন, দেশের কোথাও জমি বিক্রির সময় অনুমতির প্রয়োজন না হলেও কক্সবাজারে জমি বেচা কেনার সময় অনুমতি নিতে হয়। এটি একটি ভোগান্তি। এটি দুরকরা দরকার।