শীতে চুলের যত্নে অবহেলা করছেন না তো?

শীত মানেই শুষ্কতা। আর এই শুষ্ক মৌসুমে নিজেকে সুন্দর রাখতে প্রয়োজন একটু বাড়তি যত্নের। এই মৌসুমে আমরা কম বেশি ত্বকের যত্ন নিলেও চুলের প্রতি করে বসি অবহেলা।

এতে চুলে দেখা দেয় নানান সমস্যা। পাশাপাশি চুল হয়ে পড়ে মলিন ও প্রাণহীন। শীতকালে চুল স্বাস্থোজ্জ্বল রাখতে কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন বিউটি এক্সপার্ট জেওরানা জেনি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-

চুল ও মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা

মাথার ত্বক বা চুল পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। মাথার ত্বকে ময়লা ও ঘাম খুশকির অন্যতম কারণ। যারা প্রতিনিয়ত বাইরে যান তাদের মাথায় খুশকির সমস্যা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই বাইরে যাওয়ার আগে চুল ঢেকে নিতে পারেন। তাছাড়া বাড়ি ফিরে অবশ্যই মানসম্মত শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার করতে হবে।

হট অয়েল ম্যাসাজ করা

প্রতিটি মৌসুমে চুলের যত্নে তেল অন্যতম। তবে শীতকালে তেলের ব্যবহার একটু বেশিই জরুরি। কেননা শীতের শুষ্ক আবহাওয়া প্রকৃতি থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে চুলের ন্যাচারাল অয়েলের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে শ্যাম্পুর আগে খাঁটি নারিকেল তেল উষ্ণ গরম করে ম্যাসাজ করা যেতে পারে।

তবে ভালো ফলাফল পেতে রাতে তেল ম্যাসাজ করে সকালে শ্যাম্পু করতে হবে।

হেয়ার মাস্ক

শীতে চুল ঝলমলে ও আর্দ্র রাখতে প্রতি সপ্তাহে একবার হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে চুলের পরিমাপ অনুযায়ী প্রাকৃতিক এ্যলোভেরা জেল ও নারিকেল তেল একত্রে মিশিয়ে পরিষ্কার চুলে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। তাছাড়া এক কাপ টক দই সাথে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে ৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।

কন্ডিশনার ব্যবহার

শীতে চুল ভাঙা রোধ করতে ও চুল সিল্কি রাখতে প্রতিবার শ্যম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহারের বিকল্প নেই। তবে কন্ডিশনার মাথার ত্বকে লাগানো যাবে না। এতে করে চুল পরার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভেজা চুলের আগার অংশে কন্ডিশনার লাগিয়ে ১ থেকে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

চুলে গরম পানি ব্যবহার না করা

ঠান্ডার মৌসুমে আমরা মূলত গরম পানিতে গোসল করতে পছন্দ করি। তবে গরম পানি মাথায় ব্যবহারের মতো ভুল করা যাবে না। কেননা অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া চুল পড়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

বেশি বেশি পানি পান

শীতের মৌসুমে ঠান্ডা আবহাওয়ায় আমরা পর্যাপ্ত পানি পান করতে ভুলে যাই। যার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা হয়ে চুলপড়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই ঠান্ডার মৌসুমেও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।