ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, সিরিয়ায় যা ঘটেছে, তা আমেরিকান-ইহুদিবাদী যৌথ ষড়যন্ত্রের ফল। এতে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার লোকের সামনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, প্রতিবেশী একটি দেশ এই ঘটনায় দৃশ্যমান ভূমিকা পালন করলেও মূল ষড়যন্ত্রকারী ও কৌশলবিদরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলে অবস্থান করছে।
আলি খামেনি দেশটির নাম উল্লেখ না করলেও আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থন দেওয়া তুরস্কের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সিরিয়ার একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র স্পষ্টতই এই বিষয়ে ভূমিকা পালন করেছে এবং তা অব্যাহত রেখেছে – সবাই এটি দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু মূল ষড়যন্ত্রকারী, মূল পরিকল্পনাকারী ও কমান্ড সেন্টার আমেরিকা ও ইহুদিবাদী সরকারের মধ্যেই নিহিত। আমাদের কাছে এমন ইঙ্গিত রয়েছে, যা এই উপসংহারে সন্দেহের কোনো অবকাশ রাখে না।’
তিনি প্রতিরোধ ফ্রন্টের ভবিষ্যত সম্পর্কে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আল্লাহর কৃপায় প্রতিরোধের পরিধি পুরো অঞ্চলকে আগের চেয়ে আরও বেশি ঘিরে ফেলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট এমনই, আপনি যত বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন, এটি তত শক্তিশালী হয়ে উঠবে।আপনি যত বেশি অপরাধ করবেন, তত বেশি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে উঠবে। আপনি যত বেশি তাদের সাথে লড়াই করবেন, ততই এটি আরও প্রসারিত হবে।’
সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর ফলে ইরান দুর্বল হয়ে পড়বে বলে যেসব বিশ্লেষক যুক্তি দেখাচ্ছেন, তাদের ‘অজ্ঞ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আলি খামেনি। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে ইরান শক্তিশালী ও শক্তিশালী এবং আরও শক্তিশালী হবে।’
সর্বোচ্চ নেতা সিরিয়ার ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে সিরিয়ার দখলকৃত অঞ্চলগুলো সিরিয়ার সাহসী তরুণদের হাত ধরে মুক্ত করা হবে। সন্দেহ নেই যে এটি ঘটবে। রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট যুক্তরাষ্ট্রকেও ওই অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করবে।’
তিনি সিরিয়ার সংঘাতে জড়িতদের ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, ‘কেউ কেউ উত্তর বা দক্ষিণ সিরিয়ায় আঞ্চলিক দখলদারিত্ব চায়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য এই অঞ্চলে তার অবস্থান সুরক্ষিত করা। এগুলো তাদের লক্ষ্য, কিন্তু সময় প্রমাণ করবে যে ইনশাআল্লাহ, এগুলোর কোনোটিই অর্জিত হবে না।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে পা রাখতে পারবে না এবং প্রতিরোধ ফ্রন্ট তাদের ওই অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করবে।’