নাজিম হাসান, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
পারিবারিক আইনে সমতা আনি নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করি এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজশাহী জেলা শাখার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২৪ পালন করা হয়ছে। গতকার মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার সময় সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রাজশাহী জেলা শাখার মহিলা পরিষদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কল্পনা রায়ের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, এবারের জাতিসংঘের আহ্বান হচ্ছে- সচেতনতা বৃদ্ধি করো, নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূল করো, সমাজ ও রাষ্ট্রকে দায়বদ্ধ করো। সমাজে বিরাজমান নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে নারীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নারীর অধিকার মানবাধিকার এই স্লোগানকে কন্ঠে ধারণ করে ১৯৭০ সাল থেকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক , গণতান্ত্রিক, মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হলেও নারীর প্রতি বৈষম্য ও সহিংসতা এখনো বিরাজমান। সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা, শারীরিক- মানসিক নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, বহুবিবাহ, যৌন হয়রানি,খুন, ধর্ষণ নারীর প্রতি অধস্তন ও পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, নারীবান্ধব পর্যাপ্ত আইন না থাকা, যে আইনগুলো আছে তার যথাযথ প্রয়োগ না করতে পারা, বিচারিক কাজে দীর্ঘসূত্রিতা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারী পুরুষের সমতাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার সহায়ক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সনদে বাংলাদেশ সরকার স্বাক্ষর দিলেও তা যথাযথ বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ না করা, সিডও সনদের গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ ২;১৬ ১ (গ) উপর থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার না করার ফলে নারী উন্নয়ন তথা দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে নারী পুরুষের সমতাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা ছাড়া জেন্ডার সমতা পূর্ণ মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালকদের যেমন ভূমিকা রয়েছে তেমনই জাতিসংঘ কর্তৃক নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বৈশ্বিক নীতিমালা, বৈশ্বিক চুক্তিসহ গৃহীত নানা উদ্যোগ এক্ষেত্রে ইতিবাচক সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।#