এলামনাই 

এনামুল হক টগর
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজো প্রাণের হিয়া মনের কথা বলে ভালোবাসার দীর্ঘ পরিচয়।
মতিহার চত্বরের সবুজ গাছগুলো এখনো স্মৃতির পাতায় ইতিহাসে জীবন্ত অবিস্মরণীয়!
সোনাল ক্যাম্পাসে আজো সময়ের প্রিয়তম দাঁড়িয়ে থাকে তাজা ফুল হাতে নির্মল!
প্রেমের আবেগে যৌবন ছুঁয়ে যায় বিপুল ভালোবাসা জ্ঞানের আলোতে জীবন সরল।
উচ্চ শিক্ষার আশায় জীবনের মনোযোগ সাধনা সভ্যতা জেগে ওঠে বিজ্ঞ ধারায়।
বৃক্ষের ছায়ার নিচে সবুজ ঘাসগুলো এখনো স্বপ্ন দেখে অতীত স্মৃতির আঁখি দুটি কাজল!
প্রশাসনিক ভবন সিনেট ভবন প্যারিস রোড সাবাস বাংলাদেশ মহাকালে দীপ্ত উজ্জ্বল।
পশ্চিমের ছাত্রীদের হল কতো গুঞ্জন পূর্বে ছাত্রদের হল ষ্টেডিয়াম হোটেল সিলসিলা।
সেদিনের লেখক কবিরা আজো ক্রমাগত হেঁটে যাই দিনগুলো খুঁজি প্রেম মধুময়!
সেদিন সময় ছিল নীল আকাশের দিগন্তে মতিহার চত্বর জীবন যৌবন উদাস।
আমরা ছিলাম উড়ন্ত পাখির কুজন বিপ্লবী  সংগ্ৰামী তপস্যায় লেখাপড়া বিশ্বাস।
ছাত্র সংসদ ভবন জুবেরি ভবন কফিহাউস নজরুল অডিটোরিয়াম চেতনায় দীপ্ত।
জীবনের আশায় আমরা স্বপ্ন দেখতাম অরণ্য প্রকৃতি পদ্মার তীরে জীবন শান্ত।
ষ্টেশন বাজার থেকে মতিহার চত্বর যোগাযোগ   র্র্যাগ-ডে উৎসব ক্যাফেটেরিয়ায় পুনমিলন।
কতো জন্ম কতো পূনজন্ম কতো পুষ্প বৃক্ষের ছায়ায় নিচে আমাদের বিপ্লবী চেতনা।
কখনো গবেষণার ধ্যানে বিমগ্ন মন বিজ্ঞানের সেবায় দিওয়ানা প্রেমিক জীবন।
মৃত্তিকার বুক থেকে নির্মল হাওয়া এসে জীবনকে বার্তা দিতো নতুন সংস্কার।
আমাদের দেশপ্রেমের চোখদুটি অধিকারে ছুটে যেত সংগ্রামী মিছিলে দীপ্তকর।
মনে হতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরাই নব নব আমরাই জন্মে জন্মে চির সবুজ সুন্দর!
আমরাই শ্লোগানে শ্লোগানে আন্দোলনে আন্দোলনে উত্তরসূরীদের বিপ্লব জাগরণ!
এই খানে এই গৌরবময় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আমরাই পরিবর্তন সুষমবন্টন কল্যাণ গৌরব।
চত্বরে নীল আকাশ চঞ্চল সবুজ মৃত্তিকার বুকে লাইব্রেরী শহীদ মিনার সংগ্ৰহ শালা।
মতিহার ঘিরে আজো রঙিন ফুলগুলো পাপড়ি ছড়ায় সৌরভে গৌরবে মুক্তিযুদ্ধ শহীদ নন্দন!
অবাধ উন্মুক্ত বাতাস প্রশান্তির ছায়া দেয় কলা ভবন বিজ্ঞান ভবন কর্মাস ভবন দক্ষ নির্মাণ।
আমাদের হৃদয় সৃজনশীল বিদ্যায় শুভ চৈতন্যে বিজ্ঞ হয়ে ওঠে ভবিষ্যৎ কর্ম আভরণ।
আমরাই নব নব ফিরে ফিরে আসি আমরাই ফিরে ফিরে যাবো প্রাক্তন ছাত্র সংঘ অনির্বাণ।
আমাদের শ্রম হবে আগামী ফুলের চেয়েও আধুনিক নিপুণ সিনেট ভবন চেতনার নয়ন।
অপরূপ ইন্দ্রধনু রঙে বাঁশিতে সুর লহড়ি ওঠে  অনাগত বংশধরের কর্ণে আর্দশ ভবিষ্যৎ।
শ্রমজীবী কর্মজীবী কৃষাণ কৃষাণির রূপে পুনরায় আমরাই জাতিস্মর প্রগতি-
এই মৃত্তিকার সবুজ চত্বরে আমরাই  নতুন সৃষ্টির গবেষণা করবো মানব সেবায় উন্নতি।
১০/১২/২০২৪